মেসির জার্সি পরে স্টেডিয়ামে এক ভক্ত। ছবি রয়টার্স
রবিবার রাতে ঘরের মাঠে ন্যু ক্যাম্পে যখন রিয়াল সোসাইদাদের বিরুদ্ধে বার্সেলোনা খেলতে নামল, তখন তিনি প্রায় ৯০০ কিমি দূরের একটি শহরে বসে। নতুন ক্লাবের হয়ে খেলতে নামার অপেক্ষায় দিন গুণছেন। কিন্তু বার্সেলোনায় এখনও তাঁকে নিয়ে হা-হুতাশ চলছে। আগামী অনেকদিন ধরেই যে জিনিস চলার সম্ভাবনা।
করোনার কারণে গত দেড় বছর লিয়োনেল মেসিকে মাঠ থেকে বসে স্বচক্ষে দেখার সুযোগ পাননি বার্সেলোনার সমর্থকরা। এ বার বার্সেলোনায় করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকায় লা লিগা শুরুর আগেই মাঠে দর্শক প্রবেশের অনুমতি দিয়েছিল স্পেনের সরকার। মেসিকে দেখার আশা অনেক ভক্ত-সমর্থকই আগে থেকে টিকিট কেটে রেখেছিলেন। সেই মেসিরই আচমকা চলে যাওয়া তাঁদের কাছে বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো। কাকে দেখতে তাঁরা মাঠে আসবেন সেই নিয়েই তর্ক চলছে।
বার্সেলোনার বিপণীতে এখনও বিক্রি হচ্ছে মেসির জার্সি। কিন্তু সামনাসামনি নয়, সেগুলি এখন উপরের তাকে চলে গিয়েছে। সামনে এগিয়ে এসেছে আঁতোয়া গ্রিজম্যান, মার্টিন ব্রাথওয়েট, ফ্রেঙ্কি দি জংদের জার্সি। মেসির ছবি আঁকা রাস্তাঘাট এখনও জ্বলজ্বল করছে। সমর্থকদের গায়ে মেসির উল্কিও রয়ে গিয়েছে। শুধু মানুষটাই আর এই শহরে নেই।
মেসির সমর্থনে পোস্টার। ছবি রয়টার্স
রবিবার বার্সেলোনার ম্যাচে স্টেডিয়ামে ৩০ হাজারেরও কম দর্শক ছিল। তবু কোনও কোনও কোণা থেকে মেসির নামে জয়ধ্বনি শোনা গেল। মেসির জার্সি পরেও কয়েকজনে খেলা দেখতে আসতে দেখা গিয়েছে। ম্যাচ দেখতে আসা এবং বাড়ি ফেরার সময় আলোচনায় শুধুই একজনের নাম — লিয়োনেস আন্দ্রেস মেসি।