ভারতের বিপক্ষে লড়াইয়ের স্মৃতিটা সঙ্গী করেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে ঢাকা ছেড়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। সোমবার দুপুর দু’টোয় শ্রীলঙ্কান এয়ারলাইন্সে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যায় অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ দল।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টাইগারদের সিরিজের শুরুটা হবে দু’দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ দিয়ে। ২ ও ৩ মার্চ মোরাতুয়া ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দু’দিনের একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে সফরকারীরা।
তিন দিন বিরতির পর ৭ মার্চ গলে শুরু হবে দু’ম্যাচের সিরিজের প্রথম টেস্ট। প্রথম টেস্টের পর ১৫ মার্চ সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টটি শুরু হবে পি সারা ওভালে।
টেস্ট সিরিজ শেষে কলম্বোতে ২২ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে একদিনের একটি প্রস্তুতি ম্যাচ। এর দু’দিন বিরতির পর ২৫ মার্চ রাঙ্গিরি ডাম্বুলা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডে।
একই ভেন্যুতে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হবে ২৮ মার্চ। ১ এপ্রিল সিরিজের শেষ ওয়ানডে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে কলম্বোর সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব মাঠে।
এরপর ৪ ও ৬ এপ্রিল কলম্বোর রানাসিংহে প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের বিপক্ষে দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচের মধ্যদিয়ে সিরিজের সমাপ্তি টানবে সফরকারী বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম মনে করেন টেস্টে শ্রীলঙ্কাকে হারানোর এটা দারুণ একটা সুযোগ।
আরও খবর: লাঞ্চের পর কী ভাবে বদলে গেল কিফের বল
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এখন পর্যন্ত ১৬টি টেস্ট খেলে একটিতেও জয় পায়নি বাংলাদেশ। সর্বশেষ শ্রীলঙ্কা সফরে ড্র করেছিল টাইগাররা। সেই টেস্টে প্রথম বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান হিসেবে ডাবল সেঞ্চুরি করেন মুশফিকুর রহিম। এরপর থেকে ধারাবাহিকভাবেই টেস্টে ভালো খেলছে বাংলাদেশ। গতবারের সেই ড্র থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে এবার জিততে চান মুশফিক। তিনি বলেন, ‘এই সিরিজে সেরা কয়েকজন ক্রিকেটারকে তারা পাবে না। নিয়মিত অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসও নেই। এই কারণে আরো বেশি চাপে থাকবে তারা। তা ছাড়া শ্রীলঙ্কা এটা জানে যে, বাংলাদেশ আগের তুলনায় অনেক পরিণত এবং ভালো ক্রিকেট খেলছে। সেদিক থেকে জয়ের ভালো সুযোগ আছে আমাদের সামনে।’
বাংলাদেশ অধিনায়ক মনে করেন শ্রীলঙ্কায় টেস্ট জয়ের জন্য ভারসাম্যপূর্ণ স্কোয়াড রয়েছে বাংলাদেশের। তিনি বলেন, ‘যেমন উইকেটই হোক না কেন আমাদের দলটা অনেক ব্যালান্সড। নিজেদের সেরা দিয়ে চেষ্টা করলে শ্রীলঙ্কায় টেস্ট জয়ের এটাই সেরা সুযোগ।’ এ ছাড়া বাংলাদেশ জাতীয় দলের কোচিং স্টাফদের বেশির ভাগই শ্রীলঙ্কান। এটাও বাংলাদেশকে সাহায্য করবে বলে মনে করেন জাতীয় টেস্ট দলের অধিনায়ক।