আগের ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের কাছে হারলেও পরের ম্যাচে আইরিশদের বেশ সহজেই হারাল বাংলাদেশ। ১৮১ রানে তাদের গুটিয়ে দিয়ে ২৭.১ ওভারে ৮ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে টাইগাররা। এই জয়ের ফলে ৩ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানেই রইল বাংলাদেশ। ২ ম্যাচে ৮ পয়েন্টে ওপরে রয়েছে নিউজিল্যান্ড।
১৮২ রান বড় টার্গেট না— দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার এ দুই ওপেনারের ব্যাট থেকেই ১০ ওভারে ৬৯ রান উঠে আসে। ১৪তম ওভারে ছন্দ আর ধরে রাখতে পারেননি তামিম। ৪৭ রানে কেভিন ও’ব্রায়েনের লাফিয়ে ওঠা বলে ক্যাচ নেন নিয়েল ও’ব্রায়েন। তামিমের ৫৪ বলের ইনিংসে ছিল ৬টি চার।
মাঠে ঝড়ের গতিতে খেলেছেন ছন্দে ফেরা সৌম্য।
৪০ বলেই ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ হাফসেঞ্চুরি যোগ হল আজ। শতকের দিকে গতি ছিল কিন্তু ৮৩ রানেই থামতে হল তাকে। তার সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে ৭৬ রানের জুটি গড়েছেন সাব্বির। ৩৫ রানে তাকে ডকরেলের ক্যাচে বলটি ছিল ম্যাককার্থি। শেষে মুশফিক এসে জয় নিলেন। ২ উইকেটে হারিয়ে বাংলাদেশ জয় পেল ২৭.১ ওভারে।
শুরুতে বাংলাদেশ আইরিশদের ১৮১ রানে ঘরে তোলে। অভিষেকের ওয়ানডেতেই চমকে দিয়েছেন সানজামুল। শুরুর ওভারে উইকেট নিয়ে এড জয়েসের হাফসেঞ্চুরির স্বপ্ন ভেঙেছেন। ৪৬ রানে তামিম ইকবালকে ক্যাচ তুলে দেন এই ব্যাটসম্যান। ৪৪তম ওভারে ব্যারি ম্যাকার্থিকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে ১২ রানে বিদায় দেন সানজামুল।
বিপর্যস্ত সেই আইরিশদের শেষে টেনে নিচ্ছিলেন জর্জ ডকরেল। কিন্তু ৪৭তম ওভারে তাকেও বিদায় করেন অধিনায়ক মাশরাফি। মুশফিকের ক্যাচে আটকের আগে ২৫ রান করেনছেন তিনি। এই ওভারের চতুর্থ বলে মুশফিকের ক্যাচে শেষ ব্যাটসম্যান পিটারকে সাজঘরে পাঠান মাশরাফি— আয়ারল্যান্ড গুটিয়ে যায় ১৮১ রানে।
টসে জিতে ফিল্ডিং নিয়ে শুরু করেছিল বাংলাদেশ। স্বাগতিক আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ওভারে রুবেলের মেডেন ওভারের শুরুর শেষ হল বাংলাদেশের বিজয়ী হাসি দিয়েই।