অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ ম্যাচটা বেঙ্গালুরুর টিম হোটেলে বসে মহেন্দ্র সিংহ ধোনি আশা করি দেখে থাকবে। আর তাতে ভারত অধিনায়কের কী মনে হতে পারে তারও মনে হয় একটা আন্দাজ করা যায়— চিন্নাস্বামীতেও টার্নার! ভারতে দু’টো টি-টোয়েন্টি উইকেট আছে যেখানে ১৮০-ও শুধু ‘পাশ’ রান। দু’টোর একটা ওয়াংখেড়ে হলে অন্যটা চিন্নাস্বামী। যে জন্য ওখানে টস জিতে কোনও দল আগে ব্যাট করতে চায় না। জানেই না তো, কোনটা ‘সেফ’ টার্গেট তার জন্য। ২২০ করেও হয়তো ছিটকে গেল!
কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজ-শ্রীলঙ্কার পর এ দিন আরও একটা ম্যাচে দেখা গেল পুরো অন্য ছবি। বুধবার ভারতের বাংলাদেশ ম্যাচেও মনে হয় চিন্নাস্বামীতে টার্নার অপেক্ষা করছে। তবে তার জন্য ধোনিদের মনে হয় না বিশেষ টেনশনের কিছু আছে বলে। দেখুন, একটা ক্রিকেট টিম ভেতরে ভেতরে কেমন অবস্থায় আছে ধরা পড়ে দলটার ফিল্ডিং দেখে। এ দিন মুশফিকুর, আল আমিনদের ফিল্ডিংয়ে বডি ল্যাঙ্গোয়েজ দেখে আমার অন্তত মনে হচ্ছে, বাংলাদেশ দলটা প্রেশারে আছে। সেটা তাসকিন-সহ দু’জন ভাল বোলারের শাস্তিতে হতে পারে। এ দিন তামিম ইকবালের অসুস্থতার জন্য হতে পারে। আসলে ক্রিকেটের এত বড় মঞ্চে দল এই জাতীয় টেকনিক্যাল-ফিজিক্যাল সমস্যায় পড়লে সেগুলো কী ভাবে সামাল দিতে হয় তার অভিজ্ঞতা তো বাংলাদেশের বেশি নেই।
মুস্তাফিজুর ফিট হয়ে এ দিন ফের খেলল। দু’টো উইকেটও তুলেছে। সব ঠিক। কিন্তু বাংলাদেশের সেরা পেস বোলিং প্রতিভাকে নিয়ে বুধবার মনে হয় না রোহিত-কোহালিদের বিরাট চিন্তা আছে বলে। তার চেয়েও বড় কথা, যারা বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন দেখছে, তেমন একটা টিম বিপক্ষের একটা বোলার নিয়ে টেনশন করবেই বা কেন? বরং আমার মনে হয়, চিন্নাস্বামীর টার্নার আর বাংলাদেশের কয়েক জন কার্যকর পার্টটাইম স্পিনার থাকাটা বেশি ইমপ্যাক্টের হতে পারে পরের ম্যাচে। স্পেশ্যালিস্ট সাকিবের পাশে মাহমুদউল্লাহ পার্টটাইম অফস্পিন বা সাব্বির লেগস্পিনটা করে দিতে পারে। ঠিক আমাদের রায়না-যুবরাজের মতো।
অস্ট্রেলিয়াকে দেখে মনে হল, ওরা এখনও টি-টোয়েন্টি ফর্ম্যাটের জন্য পুরো তৈরি নয়। ওদের মোহালির পিচে রবিবার ভারতের বিরুদ্ধে কি এর চেয়ে ভাল দেখাবে? যেহেতু মোহালি বরাবর পেস সহায়ক হয় বলে? মুশকিল বলা। এই বিশ্ব টি-টোয়েন্টিতে যে রকম পরের পর টার্নার দেখছি! মোহালির কী খবর কে জানে?
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ
২০ ওভারে ১৫৬-৫ (মাহমুদউল্লাহ ৪৯ ন.আ., জাম্পা ৩-২৩)
অস্ট্রেলিয়া
১৮.৩ ওভারে ১৫৭-৭ (খোয়াজা ৫৮, সাকিব ৩-২৭)