Babita-Sakshi Controversy

স্বার্থ মেটাতে কুস্তিগিরদের ব্যবহার করছেন ববিতা! সাক্ষী মালিককে পাল্টা দঙ্গল-কন্যার

বিবাদে জড়িয়ে পড়লেন কুস্তিগির ববিতা ফোগট ও সাক্ষী মালিক। অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগ শুরু হয়েছে তাঁদের মধ্যে। ঘটনায় ঢুকে পড়েছে রাজনীতিও।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৮ জুন ২০২৩ ১৬:১৮
Share:

ববিতা ফোগট (বাঁ দিকে) ও সাক্ষী মালিক। —ফাইল চিত্র

ভারতীয় কুস্তি সংস্থার প্রধান ব্রিজভূষণ শরণ সিংহের বিরুদ্ধে লড়তে গিয়ে এ বার নিজেদের মধ্যেই কথা কাটাকাটিতে জড়ালেন কুস্তিগিরেরা। অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগের পালা শুরু হয়েছে সাক্ষী মালিক ও ববিতা ফোগটের মধ্যে। সেখানে ঢুকে পড়েছে রাজনীতিও। সাক্ষীর অভিযোগ, নিজের স্বার্থ মেটাতে কুস্তিগিরদের ব্যবহার করছেন বিজেপি নেত্রী ববিতা। পাল্টা ববিতার জবাব, সাক্ষী কংগ্রেসের হাতের পুতুলে পরিণত হয়েছেন।

Advertisement

শনিবার একটি ভিডিয়ো বার্তায় ববিতার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন সাক্ষী ও তাঁর কুস্তিগির স্বামী সত্যব্রত কাদিয়ানন। অলিম্পিক্সে ব্রোঞ্জজয়ী সাক্ষীর অভিযোগ, যন্তর মন্তরে তাঁদের ধর্নার অনুমতি আদায় করেছিলেন ববিতা নিজেই। সাক্ষী বলেন, ‘‘আমি প্রথমেই স্পষ্ট করে বলতে চাই যে আমাদের আন্দোলনের মধ্যে কোনও রাজনীতি নেই। জানুয়ারি মাসে আমরা যন্তর মন্তরে গিয়েছিলাম। সেই সময় দুই বিজেপি নেতা-নেত্রী তীর্থ রানা ও ববিতা ফোগটই ধর্নার অনুমতি আদায় করেছিল।’’

সাক্ষীর অভিযোগ, নিজের স্বার্থে তাঁদের ব্যবহার করার চেষ্টা করেছিলেন ববিতা। তিনি বলেন, ‘‘প্রথমে নিজেদের স্বার্থে ওরা কুস্তিগিরদের ব্যবহার করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু পরে বিপদ বুঝে সরকারের কোলে গিয়ে বসে পড়ল। আমাদের আন্দোলনে কংগ্রেসের কোনও হাত নেই। সেখানে যারা আছে তাদের মধ্যে অন্তত ৯০ শতাংশ কুস্তির সঙ্গে যুক্ত। ওদের ১০-১২ বছর ধরে আমরা চিনি।’’

Advertisement

সাক্ষীর এই অভিযোগ মুখ বুজে মেনে নেননি ববিতা। কমনওয়েলথে সোনাজয়ী কুস্তিগির পাল্টা বলেছেন, ‘‘এমন কিছু বোলো না, যা পরে লুকোতে হয়। আমার ছোট বোন (পড়ুন সাক্ষী) ও তার স্বামীর একটা ভিডিয়ো দেখে খুব দুঃখ হল। আবার হাসিও পেল। ওরা বলল, আমি নাকি ধর্নার অনুমতি আদায় করেছিলাম। আমার সই করা কোনও কাগজ ওরা দেখাতে পারবে? কোনও প্রমাণ ওদের কাছে নেই।’’

ববিতার অভিযোগ, কংগ্রেসের মদতেই তাঁকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করছেন সাক্ষী। তিনি বলেছেন, ‘‘আমি প্রথম দিন থেকে বলে আসছি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও দেশের আইনের উপর আমার ভরসা রয়েছে। মহিলা হিসাবে মহিলাদের লড়াইয়ে আমি সব সময় পাশে রয়েছি। কিন্তু যে ভাবে ওরা সংসদ ভবন উদ্বোধনের দিন মিছিল করল বা গঙ্গায় পদক ভাসিয়ে দিতে গেল সেটা আমি মেনে নিইনি। এতে দেশেরই অসম্মান করা হয়েছে। ওদের বার বার বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে। তা হলেই সমাধান বার হত। সেটা না করে ওরা প্রিয়ঙ্কা গান্ধী, দীপেন্দ্র হুডাদের কথায় চলছে।’’

এই বিবাদের মধ্যেই অবশ্য ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে ১৫০০ পাতার চার্জশিট জমা দিয়েছে দিল্লি পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে গিয়ে ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করে। চার্জশিটে ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪ (জোর করে মহিলার শ্লীলতাহানির চেষ্টা), ৩৫৪এ (অশালীন মন্তব্য), ৩৫৪ডি (উত্ত্যক্ত করা) ধারায় অভিযোগ করা হয়েছে। এই ধারাগুলির মধ্যে ৩৫৪ জামিনঅযোগ্য। তবে বাকি দু’টি ধারা জামিনযোগ্য। ২২ জুন রয়েছে সেই মামলার পরবর্তী শুনানি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement