ওয়ান ডে সিরিজে টানা তিন সেঞ্চুরির পুরস্কার। টেস্ট টিমেও ডেকে নেওয়া হল বাবর আজমকে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজকে পাকিস্তানের ৩-০ সিরিজ হারানোয় বাইশ পূর্ণ হতে চলা বাবর আজমের অবদান ছিল সবচেয়ে বেশি। শারজায় পরপর দু’ম্যাচে যথাক্রমে ১২০ ও ১২৩ আর আবুধাবিতে ১১৭ করেন লাহৌরের এই তরুণ। তিন ম্যাচের সিরিজে সবচেয়ে বেশি ব্যক্তিগত রানের (৩৬০) রেকর্ড এখন তাঁরই দখলে। এর আগে যা ছিল কুইন্টন ডি কক (৩৪২) ও মার্টিন গাপ্টিলের (৩৩০) দখলে। এই পারফরম্যান্সের পর তাঁর টেস্ট স্কোয়াডে আসাটা অবশ্য স্বাভাবিক ব্যাপার। এ বছর পাকিস্তানের ওয়ান ডে টিমের সবচেয়ে উজ্জ্বল তারকা ১১ ম্যাচে ৬৫৬ রান করেন ৫৯-এর গড় ও ৯৫-এর স্ট্রাইক রেটে। গত বছর মে মাসে ওয়ান ডে-তে অভিষেক হওয়ার পর ১৮টা ম্যাচে ৮৮৬ রান এসেছে তাঁর ব্যাট থেকে। তাই সে দেশের ক্রিকেট মহলে সবচেয়ে আলোচিত চরিত্র এখন এই বাবর।
যদিও মাত্র ১৮টা ওয়ান ডে খেলেছেন, কিন্তু এখন থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর সঙ্গে বিরাট কোহালির তুলনা টানা শুরু হয়ে গিয়েছে। এক টুইটে মনে করানো হয়েছে ১৮ ওয়ানডে-র পর যেখানে কোহালি ৬৫৫ করেছিলেন একটা মাত্র সেঞ্চুরি করে, সেখানে বাবরের ৮৮৬, তিনটে সেঞ্চুরি। তবে টেস্ট ক্রিকেটে এখন তিনি কেমন করেন, সেটাই দেখার অপেক্ষায় রয়েছেন সকলে। যা নিয়ে পাকিস্তানের প্রধান নির্বাচক ইনজামাম উল হক বলছেন, ‘‘নিশ্চয়ই ভাল করবে টেস্টেও। সেই বিশ্বাস থেকেই তো ওকে টেস্ট দলে রাখা হল।’’
টেস্ট দলে মাত্র পাঁচজন স্পেশ্যালিস্ট ব্যাটসম্যান রয়েছেন। ইংল্যান্ড সফরের দল থেকে চারজন বাদ পড়েছেন। ইউনিস খানও নেই। যার অর্থ ক্যারিবিয়ানদের বিরুদ্ধে পাকিস্তান পাঁচ বিশেষজ্ঞ বোলারে নামবে বলেই হয়তো ঠিক করেছে। স্পিনার অলরাউন্ডার মহম্মদ নওয়াজও এই প্রথম টেস্ট দলে ডাক পেলেন। টেস্ট দল ঘোষণার সময় এ দিন ইনজামাম স্বীকারই করে নেন যে পাকিস্তানে এখন অলরাউন্ডারের অভাব। তবে ব্যাটসম্যান নিয়ে আর তেমন চিন্তায় নেই তাঁরা। নিজের দেশ নিয়ে প্রবল আশাবাদী ইনজামামের ধারণা অচিরেই ভারতের কাছ থেকে টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে এক নম্বর জায়গাটা ছিনিয়ে নিতে পারবে পাকিস্তান।