প্রচুর খোঁজাখুজির পর আনা লাল-হলুদের চতুর্থ বিদেশি হঠাৎ-ই পাল্টে গেল রাতারাতি।
এক মাসও হয়নি কিরঘিজস্তানের ইলদার আমিরভ শহরে এসেছেন। ইস্টবেঙ্গল জার্সিতে আই লিগে মাত্র আড়াই খানা ম্যাচ খেলেছেন তিনি। এর মধ্যেই তাঁকে ছেঁটে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন কোচ ট্রেভর জেমস মর্গ্যান। আর সেটা মেনেও নিলেন লাল-হলুদ কর্তারা। আমিরভের বদলে নিয়ে আসা হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার স্ট্রাইকার ক্রিস্টোফার পেইনকে। যিনি ক্রিস পেইন নামেই বেশি পরিচিত।
এই ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, এমন বিদেশি কারা বেছেছিলেন, যাঁকে এক মাসের মধ্যেই পরিবর্তন করতে হচ্ছে? মাত্র দু’দিন আগেই যিনি জানিয়েছিলেন, ‘আমিরভকে আরও দেখতে হবে। ও তো এখনও ভাল করে ম্যাচও খেলার সুযোগ পেল না,’ সেই ফুটবল-সচিব সন্তোষ ভট্টাচার্যের গলাতে এ দিন অন্য কথা। ‘‘কোচ যা চেয়েছেন, সেটাই আমরা করেছি।’’ তা হলে কি আমিরভকে বাছার আগে কোচের সঙ্গে তাঁকে নিয়ে আলোচনা করেননি কর্তারা? ঘটনা যাই হোক, আসলে প্রথম থেকেই আমিরভের খেলা মনে ধরেনি মর্গ্যানের। পাশাপাশি তুরস্কের ঠান্ডায় খেলে আসা আমিরভ কলকাতার এখনকার ঠান্ডা আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারছিলেন না। স্বভাবতই কর্তারা চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন, গরম বাড়লে আমিরভ কী করবেন? সে সময় তাঁকে কি আদৌ মাঠে নামানো যাবে? এ সব প্রশ্নের মধ্যেই বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হল আমিরভকে। ফিফার ‘সেকেন্ড ট্রান্সফার উইন্ডো’ বন্ধ হওয়ার আগেই তড়িঘড়ি আমিরভকে ছেঁটে কোচের বাছা ক্রিস পেইনের সঙ্গে চুক্তি পাকা করে ফেললেন লাল-হলুদ কর্তারা।
অস্ট্রেলীয় এই ফুটবলারের জীবনপঞ্জী অবশ্য খারাপ নয়। তিনি শেষ যে ক্লাবে খেলতেন, প্রিমিয়ার ডিভিশনের সেই ক্লাব সিডনি ইউনাইটেড ফিফটি এইটের হয়ে তাঁর ২৪ ম্যাচে ২২ গোল রয়েছে। পেইনের মুকুটে রয়েছে এ-লিগ চ্যাম্পিয়নশিপ এবং প্রিমিয়ারশিপে জেতার পালকও। ডার্বির আগেই ক্রিস পেইন চলে আসবেন বলে শোনা যাচ্ছে। কর্তারা সেই চেষ্টাই করছেন। ওয়েডসন, প্লাজারা গোলে ফিরেছেন। ক্রিস পাইন এসে মানিয়ে নিতে পারলে লাল-হলুদের শক্তি আরও বাড়বে। তবে তিনি যদি টোলগে ওজবের মতো ইস্টবেঙ্গল জার্সিতে মাঠে নেমে গোল করতে পারেন!
মর্গ্যানের হাত ধরেই অস্ট্রেলিয়া থেকে লাল-হলুদে খেলতে এসেছিলেন টোলগে। একটা সময়ে ইস্টবেঙ্গলকে তিনি বহু সাফল্যও এনে দিয়েছিলেন। এখন দেখার, টোলগের সেই সাফল্যকে আর এক অস্ট্রেলীয় স্ট্রাইকার স্পর্শ করতে পারেন কি না!