আজ থেকে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন

মারে-নোভাকের দাপট ভাঙার চ্যালেঞ্জ এ বার তরুণ ব্রিগেডের

বিগ টু, মানে অ্যান্ডি মারে আর নোভাক জকোভিচকে টেনিস সার্কিটের তরুণ প্রতিভারা কতটা চ্যালেঞ্জ ছুড়তে পারবে সেটাই দেখার এ বারের অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে। সে দিক থেকে ২০১৭ হয়তো পুরুষদের টেনিসে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা মরসুম হতে চলেছে।

Advertisement

বরিস বেকার

শেষ আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০১৭ ০৩:২৯
Share:

টনি নাদালের ক্লাসে রাফা। রবিবার মেলবোর্নে। ছবি: এপি

বিগ টু, মানে অ্যান্ডি মারে আর নোভাক জকোভিচকে টেনিস সার্কিটের তরুণ প্রতিভারা কতটা চ্যালেঞ্জ ছুড়তে পারবে সেটাই দেখার এ বারের অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে। সে দিক থেকে ২০১৭ হয়তো পুরুষদের টেনিসে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা মরসুম হতে চলেছে। ব্যক্তিগত ভাবে নোভাক জকোভিচের কোচের দায়িত্ব সামলানোর পরে ফের বিশেষজ্ঞ হিসেবে মিডিয়ায় নিজের ভূমিকায় ফিরে আসার পর্বটা তীক্ষ্ণ ভাবে গেল। গত তিন বছর অবিশ্বাস্য কেটেছে। আশা করি আধুনিক টেনিসের সঙ্গে এই সময় কাটানোটা কমেন্ট্রি বক্সে আমাকে আরও নিখুঁত আর তথ্যবহুল দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরতে সাহায্য করবে।

Advertisement

পুরুষদের সার্কিটের প্রসঙ্গে ফিরে আসা যাক। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে এ বার দু’জন ফেভারিট— গত বারের চ্যাম্পিয়ন নোভাক জকোভিচ আর বিশ্বের এক নম্বর অ্যান্ডি মারে। প্রশ্ন হচ্ছে তরুণ প্লেয়ারদের মধ্যে কারও এ রকম বড় ট্রফি জেতার ক্ষমতা রয়েছে কি? গোটা অস্ট্রেলিয়ার ভরসা এ বার নিকোলাস কিরিয়সের উপর। প্রতিশ্রুতিমান প্লেয়ার হিসেবে বেশ অনেক দিন ধরেই নিজের ক্ষমতা দেখাচ্ছে কিরিয়স। তবে তরুণ প্লেয়ারদের মধ্যে ধারবাহিক ভাবে জেতার ব্যাপারটা ধরে রাখার মতো কাউকে দেখার অপেক্ষা এখনও শেষ হয়নি আমার। যে কোনও চ্যাম্পিয়নের যেটা বড় লক্ষণ।

অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের জন্য আরও দু’জন সর্বকালের সেরাকে তৈরি হতে দেখার ব্যাপারটাও ভাল লাগছে। তাদের মধ্যে রজার ফেডেরার এই মুহূর্তে দারুণ জায়গায় আছে বলে মনে হচ্ছে। এত দিন কোর্টের বাইরে থাকাটা রজারকে যেন আরও ভাল খেলতে উদ্বুদ্ধ করছে। রাফায়েল নাদালও দীর্ঘ বিরতিতে ছিল। ওকে দেখে মনে হচ্ছে কোর্টে ফেরাটা খুব উপভোগ করছে। রাফা তো কিছু দিন আগে বলেছেই, যদি ওর মনে না হয় ওর মধ্যে এখনও সেই পর্যায়ের টেনিস বাকি রয়েছে, তা হলে আর খেলবে না। রাফা-রজার দু’জনের মধ্যেই লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা আর ফিটনেস থাকে কি না, সেটা দেখার।

Advertisement

শীর্ষবাছাই মারের উপর কিন্তু এ বার নজর সবার। মারে যে ন্যাচারালি গিফটেড প্লেয়ার মানে স্বাভাবিকভাবে প্রতিভাধর খেলোয়াড় নয়, সেটা ও নিজেই হয়তো স্বীকার করবে। প্রচণ্ড পরিশ্রম আর দায়বদ্ধতায় আজ ও সাফল্যের চূড়োয় উঠেছে। সে রকমই ওর টেম্পারামেন্ট। নিজের ফিটনেস ধরে রাখতেও প্রচণ্ড খাটাখাটনি করে। অলিম্পিক্স সোনা জেতার পর গত বছরটা দারুণ ভাবে শেষ করেছে। সেই ভাবেই নতুন মরসুমে শুরুটা করতে চায়। তা ছাড়া মারের গ্রাউন্ডস্ট্রোক এখন বেশ ভাল, ফর্মেও আছে।

নোভাককে নিয়ে আর কী বলব। গত বারের চ্যাম্পিয়নকে নিয়ে কিছু লিখতে গেলে আমার চেয়ে সাহসী কারও দরকার। ওর প্রথম রাউন্ডের ম্যাচটা কঠিন। তার পরের রাউন্ড থেকে চ্যালেঞ্জ কিছুদূর পর্যন্ত সহজ। নোভাক অনেক দূর যাবে টুর্নামেন্টে। এ ছাড়া স্ট্যান ওয়ারিঙ্কাও কিন্তু রয়েছে। যে কি না টুর্নামেন্টের শেষ পর্যায়ে পৌঁছনো পর্যন্ত র‌্যাডারের বাইরেই থাকে।

এটাই চ্যালেঞ্জ এ বার তরুণ প্লেয়ারদের। এই দুর্দান্ত প্রতিভাবান প্লেয়ারদের ছাপিয়ে যাওয়া আর টুর্নামেন্টে টিকে থাকা। একটা দুর্ধর্ষ ম্যাচ খেললেই কিন্তু হবে না। দিন-রাত সেটা ধরে রাখতে হবে। সেটাই এক জনকে চ্যাম্পিয়ন করে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement