আয়োজকদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন পুতিনসেভা। ছবি টুইটার
অস্ট্রেলিয়ায় খেলতে এসে হোটেলে রোহিত শর্মাদের শৌচাগার পরিষ্কার করতে হয়েছিল। চরম অব্যবস্থা থেকে বাদ গেলেন না টেনিস খেলোয়াড়রাও। নিভৃতবাসের জ্বালা তো রয়েছেই। বছরের প্রথম গ্র্যান্ড স্লাম অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে নয়া বিতর্ক এবার ইঁদুরের উৎপাত নিয়ে। এতটাই যে বাধ্য হয়ে ঘর বদলাতে চাইলেন এক খেলোয়াড়। সব মিলিয়ে, বছর শুরুর গ্র্যান্ড স্ল্যামে পদে পদে ঠোক্কর খাচ্ছেন আয়োজকরা।
আবু ধাবি থেকে বিমানে মেলবোর্নে এসেছেন কাজাখস্তানের ইউলিয়া পুতিনসেভা। কিন্তু বিমানে এক জনের কোভিড ধরা পড়ায় তাঁকে যেতে হয়েছে বাধ্যতামূলক নিভৃতবাসে। সে নিয়ে আগেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন তিনি।
এবার হোটেলের ঘরে ইঁদুরের উৎপাতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। আয়োজকদের বারবার বলা সত্ত্বেও ঘর পাল্টাতে পারেননি তিনি। টুইট করেছেন, “২ ঘণ্টা ধরে ঘর পাল্টানোর চেষ্টা করছি। কোয়রান্টিনের কারণে কেউ সাহায্য করতে এগিয়ে আসেনি।” একটি ভিডিয়োও পোস্ট করেছেন পুতিনসেভা, যেখানে একটি ইঁদুরকে মহানন্দে ঘরে ঘুরে বেড়াতে দেখা গিয়েছে। ব্রিটেনের খেলোয়াড় অ্যান্ডি মারের ভাই জুডি যা দেখে পুতিনসেভাকে উত্তর দিয়েছে, “এবার বোধহয় তোমাকে বেড়াল পুষতে হবে।”
অস্ট্রেলিয়ার কড়া নিভৃতবাস নিয়ে ইতিমধ্যেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন খেলোয়াড়রা। পুতিনসেভা নিজে আরেকটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন, যেখানে দেওয়ালে রাবার প্যাডে বল মেরে অনুশীলন করতে দেখা যাচ্ছে। সঙ্গে ক্যাপশন, “গ্র্যান্ড স্ল্যামের প্রস্তুতি।” তার আগে সুইজারল্যান্ডের বেলিন্ডা বেনচিচ লিখেছেন, “নিভৃতবাস নিয়ে আমাদের কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু যে ভাবে অনুশীলনের সুযোগ থেকে আমাদের বঞ্চিত করা হচ্ছে সেটা একেবারেই ভাল নয়।”
আরও খবর: সৌরভদের সেই ফিজিয়ো হনুমাদের চোটের জন্য লকডাউনকেই দায়ি করছেন
রোমানিয়ার সোরানা সারস্টিয়া আবার তুলে ধরেছেন টেনিস অস্ট্রেলিয়া প্রধান ক্রেগ টিলের একটি পুরনো উদ্ধৃতি, যেখানে তিনি বলেছিলেন, “খেলোয়াড়দের কোনও ভাবেই টুর্নামেন্টের আগে দু’সপ্তাহ হোটেলে থাকতে হবে না। দু’সপ্তাহ ঘরে আটকে কারওকে বলা যায় না গ্র্যান্ড স্ল্যাম খেলতে নামতে।” টিলের ওই মন্তব্যকেই এখন তুলোধনা করছেন খেলোয়াড়রা।