ক্রিকেটারদের মতোই বল বিকৃতির ঘটনায় দায়ী কর্তারাও। উঠছে এমন দাবিও। ছবি: সংগৃহীত।
বল বিকৃতি কাণ্ডে স্টিভ স্মিথ, ডেভি়ড ওয়ার্নার, ক্যামেরন ব্যানক্রফ্টকে শাস্তি দিয়েছিলেন অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট বোর্ডের যে কর্তারা, তাঁদের অবস্থাই এখন বেসামাল। বিতর্কের জেরে একের পর এক সরে দাঁড়িয়েছেন বোর্ডের চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার জেমস সাদারল্যান্ড, টিম পারফরম্যান্স বস প্যাট হাওয়ার্ড। কোচ ড্যারেন লেম্যান তো ঘটনার পরেই ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
এর মধ্যে আবার বল বিকৃতি কাণ্ড নিয়ে একটি নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষণ রিপোর্ট প্রকাশিত হয় সোমবার। যেখানে বলা হয়েছে, সব কিছুর বিনিময় জিততে হবে, অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটের এই সংস্কৃতিই ক্রিকেটারদের বাধ্য করেছে মাঠে নেমে প্রতারণার আশ্রয় নিতে। এর পরেই ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার বর্তমান চেয়ারম্যান ডেভিড পিভারের ইস্তফার দাবি উঠে পড়ে।
তবে বোর্ডের অন্য কর্তারা সরে দাঁড়ালেও পিভার কিন্তু ইস্তফা দিতে রাজি নন। তিনি পরিষ্কার বলেছেন, ‘‘অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটের পক্ষে এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা দিন। আমাদের এখান থেকে সামনে এগোতে হবে।’’ তবে পিভারের সঙ্গে একমত নন অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন পেসার জিওফ লসন। তিনি বলেছেন, ‘‘আমাদের এক জন প্রাক্তন ক্রিকেটারকে এই পদে দরকার। যে সিরিয়াস ক্রিকেটটা খেলেছে। কোনও কর্পোরেট প্রধানকে দরকার নেই। ক্রিকেট খেলাটার চেয়ে ক্রিকেট বাণিজ্য এখন বেশি প্রাধান্য পাচ্ছে।’’
আরও পড়ুন: অনড় বোর্ড, ভারত সফরে ফিরছেন না স্মিথ-ওয়ার্নার
আরও পড়ুন: এটা কেমন ধারা দল বাছাই? নির্বাচকদের তোপ অজয় জাডেজার
এর আগে অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটারদের সংস্থার তরফে দাবি করা হয়েছিল, স্মিথদের নির্বাসনের শাস্তি যেন তুলে নেওয়া হয়। পাশাপাশি এও বলা হয়েছে, ক্রিকেটারদের মতোই বল বিকৃতির ঘটনায় দায়ী কর্তারাও। যদিও স্মিথ-ওয়ার্নারের শাস্তি তোলার দাবি উড়িয়ে দিয়েছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। ফলে ভারতের বিরুদ্ধে সিরিজে এই ক্রিকেটারদের কেউ দলে থাকছেন না।