মহম্মদ আজহারউদ্দিন
প্রশ্ন: ধর্মশালায় কোহালির খেলা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। শুনেছেন?
মহম্মদ আজহারউদ্দিন: না, শুনিনি তো? কাঁধের চোট কি বেড়েছে নাকি?
প্র: হ্যাঁ, আজ নেটে ব্যাট করেননি।
আজহার: সেটা আগাম সতর্কতাও হতে পারে।
প্র: না, অতিরিক্ত হিসেবে শ্রেয়স আইয়ারকে উড়িয়ে আনা হচ্ছে।
আজহার: ওহ্! তা হলে তো সিরিয়াস মনে হচ্ছে। কোহালি না খেলতে পারলে কিন্তু বড় ধাক্কা।
প্র: অ্যাডভ্যান্টেজ অস্ট্রেলিয়া বলবেন যদি কোহালি না পারেন?
আজহার: কোহালি না পারলে কিছুটা হলেও অ্যাডভ্যান্টেজ অস্ট্রেলিয়া। ও না থাকা মানে সেরা ব্যাটসম্যান থাকবে না। আগ্রাসী নেতৃত্বটাই বা কে দেবে!
প্র: ইডেনে হাতের চোট নিয়ে নেমে ক্লুজনারদের পিটিয়ে সেঞ্চুরি করেছিলেন। বিরাটের থেকে সে রকম কিছু দেখার আশা করছেন?
আজহার: রাঁচীতে কাঁধে লাগার পরেও ব্যাট করেছে। আমি আশা করছি বিরাট শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত চেষ্টা করে যাবে। ও সহজে ছাড়ার পাত্র নয়।
প্র: তিনটে টেস্ট হয়ে গেল, কোহালি রান পাননি। কোনও টেকনিক্যাল ত্রুটি ধরা পড়ল কি আপনার চোখে?
আজহার: ধুর, ধুর। কোনও ত্রুটি দেখা দেয়নি। এ রকম যে কোনও ক্রিকেটারের ক্ষেত্রে হতেই পারে। আমাদের সকলের জীবনেই ঘটেছে। এই কারণেই তো ক্রিকেটকে মহান অনিশ্চয়তার খেলা বলে। বিরাটের সঙ্গে কয়েক দিন আগেও ভিভ রিচার্ডস, সচিন তেন্ডুলকরের তুলনা হয়েছে। রাতারাতি ও খারাপ হয়ে যেতে পারে? আমার মনে হয়, সামান্য মানসিক চাপে আছে ছেলেটা। খুব তাড়াতাড়িই ঠিক হয়ে যাবে।
উদ্বিগ্ন: ধর্মশালায় কোহালির চোট পর্যবেক্ষণ চলছে। পরিদর্শনে চিন্তিত কোচ অনিল কুম্বলে। ছবি: পিটিআই।
প্র: স্লেজিং নিয়ে কী বলবেন?
আজহার: ক্রিকেটারেরা মাঠের মধ্যে কথার যুদ্ধে জড়িয়ে যাচ্ছে, সেটা তা-ও মানা যায়। বোর্ডের উচ্চ কর্তারা কেন মন্তব্য করবে? এই যে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট বোর্ডের সিইও জেমস সাদারল্যান্ড বলল যে, বিরাট নাকি ‘সরি’ শব্দটার বানানও করতে পারবে না। বিরাট কি এতটাই অশিক্ষিত নাকি? একটা ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান কর্তা হয়ে এটা কী ধরনের মন্তব্য? সাদারল্যান্ডকে পাল্টা নির্বোধ বলার লোক কি নেই আমাদের দেশে?
প্র: অভিযোগ, অস্ট্রেলিয়া দল, মিডিয়া, বোর্ড সব এক হয়ে গিয়েছে।
আজহার: ওদের মিডিয়া বাড়াবাড়ি করছে। পাগল না হলে বিরাটের সঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্পের তুলনা করে? কিন্তু আমার কথা হচ্ছে, ক্রিকেট বোর্ডের সিইও কেন প্রতিপক্ষ অধিনায়ককে অপমান করবে? এটা খুবই কুরুচিকর।
প্র: আপনাদের সময়ে স্লেজিংয়ের মাস্টার কে ছিল?
আজহার: আমাকে কখনও কেউ স্লেজ করেনি। আমিও কাউকে স্লেজ করিনি। রবার্টস, মার্শাল, হোল্ডিং, ওয়ালশ বা অ্যামব্রোজ শুধু পারফর্ম করত। ওরা সেরা ছিল। স্লেজিং তো করতে হয়নি!
প্র: ধর্মশালায় কখনও খেলেছেন?
আজহার: ব্রিটিশ এমপি দলের বিরুদ্ধে ধর্মশালায় আমার সেঞ্চুরি আছে। পেসাররা সাহায্য পাবে। কামিন্স দারুণ বল করেছে। আমাদের উমেশ যাদব ভাল ফর্মে। শামিকে পেলে ভাল হবে।
প্র: শামির চোটও নাকি পুরো সারেনি!
আজহার: এত ভাল বোলার। কপিল দেবের পর শ্রীসন্থ আর শামি— এই দু’জনকে ভাল সুইং করাতে দেখেছি। কিন্তু চোটের জন্য বাইরেই বসে থাকে!
প্র: দলজিৎ সিংহ পৌঁছে গিয়েছেন। পেসারদের জন্য আর সাহায্য থাকবে?
আজহার: কিউরেটর নিশ্চয়ই ধর্মশালা বেড়াতে যাননি। টার্নের ব্যবস্থা করতে পারেন কি না, সেটাই দেখার।
প্র: অশ্বিন উইকেট পাচ্ছেন না কেন?
আজহার: এই তো বেঙ্গালুরুতেই দারুণ জেতাল অশ্বিন। ভারতে মতামতগুলো এত দ্রুত পাল্টে যায় না!