নিকস কিরিয়স
নাটকীয় ভাবে এটিপি কাপের সেমিফাইনালে উঠল অস্ট্রেলিয়া। নিক কিরিয়সের নেতৃত্বে অসাধারণ লড়াইয়ের সৌজন্যে তারা ২-১ ফলে হারাল টিম হেনম্যানের ব্রিটেনকে। স্থানীয় দল টাই নিয়ে নেয় ডাবলসের তৃতীয় সেট টাইব্রেকে ১৮-১৬ ফলে জিতে। শেষ চারে অস্ট্রেলিয়াকে সম্ভবত খেলতে হবে রাফায়েল নাদালদের স্পেনের বিরুদ্ধে। ডেভিস কাপ-জয়ী রাফারা অন্য কোয়ার্টার ফাইনাল খেলবে শুক্রবার। প্রতিপক্ষ বেলজিয়াম।
সিডনিতে বৃহস্পতিবার কিরিয়সের বিরুদ্ধে প্রথম সিঙ্গলসে দাঁড়াতেই পারেননি ব্রিটেনের ক্যামেরন নরি। অস্ট্রেলীয় তারকা সহজেই জেতেন ৬-২, ৬-২ ফলে। পরের ম্যাচেই ১-১ করে দেয় ব্রিটেন। যার পুরো কৃতিত্ব ড্যান ইভান্সের। ডি মিনোরের বিরুদ্ধে অসাধারণ লড়াইয়ে শেষ হাসি হাসেন ইভান্স। তিনি ম্যাচ জেতেন ৭-৬ (৭/৪), ৪-৬, ৭-৬ (৭/২) ফলে।
টাইয়ের ১-১ অবস্থায় ভাগ্য ঝুলে ছিল ডাবলস ম্যাচে। অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক লেটন হিউইট ফাটকা খেলেন তাঁর নিয়মিত ডাবলস জুটি জন পিয়ার্স ও ক্রিস গুইকোনের জায়গায় কিরিয়স-মিনোরকে নামিয়ে দিয়ে। নতুন এই জুটি ব্রিটেনের জেমি মারে-জো স্যালিসবারির কাছে প্রথম সেটটাই ৩-৬ ফলে হেরে বসেন। তখন মনে হয়েছিল হিউইটের রণকৌশল হয়তো কাজে আসবে না। কিন্তু দ্বিতীয় সেটেই দারুণ ভাবে ঘুরে দাঁড়ায় অস্ট্রেলিয়া। কিরিয়সরা পাল্টা সেই ৬-৩ ফলেই সেট জিতে নেন। টাইয়ের ভাগ্য তখন নির্ণায়ক সেটে দাঁড়িয়েছিল। এবং ব্রিটেনের তারকারা চার বার ম্যাচ পয়েন্টে পৌঁছে গিয়েছিলেন। চার বারই দারুণ ভাবে ম্যাচ পয়েন্ট বাঁচান কিরিয়সরা। সেট ও টাইও জিতে নেন।
ম্যাচের পরে হিউইট বলেন, ‘‘একটা অবিশ্বাস্য ম্যাচ (ডাবলস) দেখলাম। আজ তিনটি ম্যাচেই ছেলেরা নিজেদের একশো ভাগ উজাড় করে দিয়েছে।’’ যোগ করেন, ‘‘সত্যিই আমি ওদের জন্য গর্বিত। তবে ডাবলসের শেষ সেটে যে রকম রুদ্ধশ্বাস লড়াই হল, তাতে যে কোনও দল জিততে পারত। ওরাও দারুণ খেলেছে। বিশেষ করে ইভান্স (ড্যানি)।’’ তবে দিনের নায়ক অবশ্যই টেনিস সার্কিটে ‘বদমেজাজি’ বলে পরিচিত কিরিয়স। টাইয়ের পরে তাঁর প্রতিক্রিয়া, ‘‘আজ সবাই সবার পাশে ছিলাম। রাস্টি (হিউইটের ডাকনাম) আমার দেখা সেরা অধিনায়ক। ওর জন্যই সব কিছু এত সহজে মিটে গেল।’’ এ দিকে, সিডনিতে বৃহস্পতিবার অন্য কোয়ার্টার ফাইনালে আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠল রাশিয়াও।