স্মিথের কান্না দেখে ইস্তফা লেম্যানের

স্মিথ ও ব্যানক্রফ্টের চোখের জল দেখে তিনিও সিদ্ধান্ত নেন, তাঁর আর পদ আঁকড়ে পড়ে থাকা উচিত নয়। বিবেকের ডাকে সাড়া দিয়ে তাই ইস্তফারই সিদ্ধান্ত নেন বলে এ দিন জানিয়েছেন লেম্যান।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ৩০ মার্চ ২০১৮ ০৪:১৪
Share:

বিদায়: কোচ লেম্যান জানালেন, থাকছেন না তিনিও। ছবি: গেটি ইমেজেস

এক দিন আগেও তিনি জানিয়েছিলেন, অস্ট্রেলিয়ার কোচের পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন না। কিন্তু ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিজের মত বদলে বৃহস্পতিবার হঠাৎ ড্যারেন লেম্যান জানিয়ে দিলেন, জোহানেসবার্গ টেস্টেই কোচ হিসেবে দলের সঙ্গে শেষবার থাকছেন তিনি। তার পরেই পদত্যাগ করবেন।

Advertisement

কিন্তু হঠাৎ কেন এমন মতবদল লেম্যানের?

বৃহস্পতিবার দেশে ফিরে স্টিভ স্মিথ ও ক্যামেরন ব্যানক্রফ্টকে সাংবাদিক বৈঠকে কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখেই নাকি তাঁর এই সিদ্ধান্ত। এত দিন যে ক্রিকেট সংসারে ছিলেন তিনি, সেই সংসারের দুই সদস্যকে এ ভাবে আবেগে ভেসে যেতে দেখে নিজেকেও ধরে রাখতে পারেননি অস্ট্রেলিয়ার কঠোর কোচ। স্মিথ ও ব্যানক্রফ্টের চোখের জল দেখে তিনিও সিদ্ধান্ত নেন, তাঁর আর পদ আঁকড়ে পড়ে থাকা উচিত নয়। বিবেকের ডাকে সাড়া দিয়ে তাই ইস্তফারই সিদ্ধান্ত নেন বলে এ দিন জানিয়েছেন লেম্যান।

Advertisement

আগের দিনের মতোই এ দিনও এক লিখিত বিবৃতি এনে সাংবাদিকদের সামনে পড়তে শুরু করেন লেম্যান। যার শুরুটা ছিল এ রকম, ‘‘আপনাদের জানাতে চাই, অস্ট্রেলিয়ার হেড কোচ হিসেবে এটাই আমার শেষ টেস্ট। আমি ইস্তফা দিচ্ছি।’’ আগের দিনই উল্টো কথা বলা ৪৮ বছর বয়সি কোচের মুখে এ কথা শোনার পরেই সাংবাদিকরা চমকে যান। তাঁদের বিস্ময়ের ঘোর কাটানোর জন্য এ বার লেম্যান বলতে শুরু করেন, ‘‘আজ স্মিথ আর ব্যানক্রফ্টের সাংবাদিক বৈঠক দেখে আমার মনে হচ্ছে, অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটকে এগোতে দিয়ে এখন আমার এটাই করা উচিত।’’

এ দিন সিডনিতে স্মিথের কান্নায় ভেঙে পড়া দেখে তাঁর প্রতিক্রিয়া, ‘‘মিডিয়ার সামনে স্টিভকে কাঁদতে দেখে খুবই কষ্ট পেয়েছি। দলের সবাই খুব কষ্ট পাচ্ছে।’’ এই সিদ্ধান্তে তাঁর পরিবারেরও সায় রয়েছে বলে জানান লেম্যান। বলেন, ‘‘গত এক সপ্তাহে আমার পরিবারকেও প্রচুর অপমান সহ্য করতে হয়েছে। তারাও মানসিক ভাবে বিধ্বস্ত। গত কয়েক দিন ধরে তাদের সঙ্গে কথা বলে আমার মনে হয়েছে, ছেড়ে দেওয়াই ভাল। দলের এই সংস্কৃতির জন্য আমিও তো দায়ী। সেই দায় অস্বীকার করি কী করে? আগের দিন বলেছিলাম ঠিকই যে, আমি থাকছি, কিন্তু স্টিভদের এই অবস্থায় দেখে আমি আর থাকতে পারছি না।’’

লেম্যানকে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট বোর্ড বেকসুর হিসেবে ছেড়ে দিলেও সে দেশের মিডিয়া ও ক্রিকেট মহল এতে বিস্ময় প্রকাশ করে। মিডিয়ার একাংশ মনে করে, দলের মধ্যে যে জয়ের জন্য ঝাঁপানোর মন্ত্র দেন লেম্যান, তাতেই ক্রিকেটাররা এতটা আগ্রাসী হয়ে ওঠেন, যে কোন মূল্যে জয় পাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠেন তাঁরা। অবশেষে সেই দায় নিয়েই সরে গেলেন তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement