দরজায় কড়া নাড়ছে আইএসএল সেমিফাইনাল। এ বার চার সেমিফাইনালিস্টের কেউ কারও চেয়ে কম নয়। বিনীতের গোল কেরল ব্লাস্টার্সকে শেষ চারে তুলল দ্বিতীয় বার। এ বার আবার ফাইনাল ওদের ঘরের মাঠ কোচিতে হবে ঠিক হয়ে আছে। ফলে স্টেডিয়াম ঠাসা সমর্থকদের সামনে সেমিফাইনালে সেরা ফুটবল খেলে ফাইনালে যাওয়ার মোটিভেশন কেরলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি।
প্রথম সেমিফাইনালের প্রথম লেগে টুর্নামেন্টে সবচেয়ে ধারাবাহিক টিম আটলেটিকো দে কলকাতা এবং মুম্বই সিটি এফসি-র লড়াইও কম উত্তেজক হবে না। এ বারই প্রথম সেমিফাইনাল খেলছে মুম্বই। কলকাতা-মুম্বই লড়াইটা যে একটা ট্যাকটিক্যাল যুদ্ধ হতে চলেছে তা এখনই বুঝতে পারছি। দু’টো টিম একে অপরের টক্কর নেওয়ার জন্য যথেষ্ট ক্ষমতা রাখে। রবীন্দ্র সরোবরের ছোট মাঠে খেলা তৈরির জন্য ফাঁকা জায়গা খুব কম পাওয়া যায়। তার উপর এটিকের মাঝমাঠ এ বারের টুর্নামেন্টে তর্কাতীত ভাবে শক্তিশালী। কার্যকরও। ওদের ব্যাকলাইনও সে অর্থে সংগঠিত।
অন্য দিকে মুম্বইয়ের আবার অ্যাটাকিং থার্ড একদম চোখ ধাঁধানো। টুর্নামেন্টে বেশ কিছু ভাল গোল করেছে ওরা। মুম্বই স্ট্রাইকাররা মাঝেমাঝেই জায়গা বদল করে আক্রমণ শানায়। এটা কিন্তু কলকাতার ডিফেন্ডারদের কাছে একটা বড় সমস্যার কারণ হতে পারে।
ঘরের মাঠে সেমিফাইনালে এটিকের মধ্যে ম্যাচে জাঁকিয়ে বসার তাগিদ থাকবেই। আমার মনে হয়, মুম্বই ওদের ডিফেন্স আঁটসাঁট করতে লুসিয়ান গোইয়ানের শক্তিকে কাছে লাগাবে। আর গোলের দরজা খুলতে কাউন্টার অ্যাটাকে কলকাতাকে চেপে ধরতে পারে ফোরলানরা। যে জন্য ম্যাচটায় দু’দলের দুই মিডিও কলকাতার বোরহা আর মুম্বইয়ের ভদকজের ভুমিকা খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।
যদিও দু’দলের তুল্যমূল্য বিচার করার পর আমার ভবিষ্যদ্বাণী, সেমিফাইনালের প্রথম লেগে কলকাতা এক গোলে জিতবে।