পস্টিগার গোল খিদে...
এ বার আইএসএলের শুরুর দিকে পস্টিগার ফিটনেস ভাল ছিল না। এখন ও বেশ ফিট। গোয়ার স্কোরিং জোনে ওর ছটফটানি জিকোর টিমের কাছে আজ সমস্যা হতে পারে। এই ম্যাচেই পস্টিগা প্রথম গোয়ার বিরুদ্ধে খেলবে। ওদের ডিফেন্সের কাছে তাই ও কিছুটা হলেও অচেনা শক্তি।
প্রীতম কোটালের পাল্টা আক্রমণ...
প্রীতমকে কয়েকটা ম্যাচে বসিয়ে খেলানো হচ্ছিল প্রবীরকে। কিন্তু চেন্নাইয়ান ম্যাচে প্রীতম বুঝিয়ে দিয়েছে ওকে কেন দেশের সেরা রাইট ব্যাক বলা হচ্ছে। ওর ওভারল্যাপ আর ট্র্যাক ব্যাক করতে পারা, দু’টো দক্ষতাই দারুণ। এটিকে কোচ রাইট হাফে লারাকে খেলালে প্রীতম-লারা কম্বিনেশন গোয়ার বাঁ প্রান্তে ঝড় তুলে তছনছ করতে পারে।
গোলে দেবজিতের ফর্ম...
টুর্নামেন্টে ধারাবাহিক ফর্ম দেখাচ্ছে দেবজিৎ। গোলের নীচে ওর তৎপরতা কলকাতা ডিফেন্সকে ‘চার্জড’ রাখবে, বিপক্ষের হতাশাও বাড়াবে। এরিয়াল বলে ওর অনুমান ক্ষমতা ভাল। তেমনই ভাল রিফ্লেক্স। দেবজিতের একটা দুরন্ত সেভ-ই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে।
থামাতে হবে গোয়ার চালককে...
এটিকেরই প্রাক্তন জোফ্রে গোয়া টিমের খেলাটা অপারেট করছে এ বার। আজও মাঝমাঠে ও দাপট দেখালে কলকাতার বিপদ। তাই গোয়ার প্রতিআক্রমণের সময় পস্টিগা বা হিউমের (যদি খেলে) মধ্যে কেউ এক জন নেমে এসে জোফ্রেকে ধরুক।
মলিনার সাহস...
এটিকে কোচ মলিনা কতটা সাহস দেখাতে পারেন আজ, তার উপর ওঁর দলের সাফল্য নির্ভর করবে। চেন্নাইয়ান ম্যাচের মতো এগিয়ে যাওয়ার পরে অতি ডিফেন্সিভ হওয়া চলবে না কলকাতার। পস্টিগা-হিউম বয়স বা অন্য যে কোনও কারণেই হোক, ট্র্যাক ব্যাক কম করে। সে জন্য ডাবল পিভট থাক বোরহা আর পিয়ারসন। তা হলেই গোয়াকে কোণঠাসা করা যাবে।