ATK-Mohunbagan

দু’রকম জার্সি পরেই খেলার ভাবনা এটিকে-মোহনবাগানে

মোহনবাগানের ঐতিহ্য বজায় রেখে ঘরের মাঠে (হোম ম্যাচ) জার্সির রং সবুজ-মেরুন রাখার সম্ভাবনা কার্যত চূড়ান্ত।

Advertisement

শুভজিৎ মজুমদার

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ জুন ২০২০ ০২:৩৩
Share:

প্রতীকী ছবি

এটিকে-মোহনবাগান সংযুক্তিকরণের পর থেকেই নতুন ক্লাবের নাম, জার্সির রং ও প্রতীক নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। ক্লাব কর্তারা এই প্রসঙ্গে মুখে কুলুপ আঁটলেও বিশ্বস্ত সূত্রের খবর, দু’রকম জার্সি তৈরির ভাবনা এটিকে-মোহনবাগান শিবিরের অন্দরমহলে।

Advertisement

মোহনবাগানের ঐতিহ্য বজায় রেখে ঘরের মাঠে (হোম ম্যাচ) জার্সির রং সবুজ-মেরুন রাখার সম্ভাবনা কার্যত চূড়ান্ত। বাইরের মাঠের (অ্যাওয়ে ম্যাচ) জার্সিতে থাকবে লাল-সাদা রং। অর্থাৎ, যে জার্সি পরে এত দিন আইএসএলে খেলে এসেছে কলকাতার ক্লাব, সেটাই বজায় রাখার ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে। এটিকে-মোহনবাগান নামেই খেলার সম্ভাবনা প্রবল।

এটিকে-মোহনবাগান নতুন বোর্ডের অন্যতম কর্তা সৃঞ্জয় বসুর কথায়, ‘‘ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের চার রকমের জার্সি রয়েছে। সব জার্সির রং কিন্তু এক নয়। ইস্টবেঙ্গলও নীল জার্সি পরে অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলেছে। গত দশ বছরে মোহনবাগানেও একাধিক বার অ্যাওয়ে জার্সির রং বদল হয়েছে।’’ এর পরেই তিনি যোগ করেছেন, ‘‘মোহনবাগানের ঐতিহ্য কোনও ভাবেই ক্ষুন্ন করা হবে না। ক্লাবের প্রতীক ও জার্সির রং কী ভাবে ব্যবহার করা হবে, তা আলোচনার মাধ্যমে ঠিক করা হবে।’’ সূত্রের খবর, মোহনবাগান, এটিকে দু’টো ক্লাবেরই প্রতীক রাখার সম্ভাবনা প্রবল।

Advertisement

এটিকে-মোহনবাগান নতুন কোম্পানি নথিভুক্ত করার কাজ শেষ। পাঁচ সদস্যের বোর্ডে এটিকের তিন প্রতিনিধি রয়েছেন। মোহনবাগানের তরফে রয়েছেন দু’জন। সূত্রের খবর, নতুন ক্লাবের ওয়েবসাইট তৈরির প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু নতুন বোর্ডের বৈঠক হওয়ার আগে সরকারি ভাবে কোনও কিছুই বলতে রাজি নন কর্তারা। কবে হবে বৈঠক? জানা গিয়েছে জুলাই মাসের শুরুর দিকেই এই বৈঠক হওয়ার কথা।

আইএসএলে এটিকে-মোহনবাগান খেলবে। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল, কলকাতা লিগে এ বার তারা কী নামে খেলবে। কারণ, ঘরোয়া লিগে এটিকের নিজস্ব দল রয়েছে। তা হলে? নতুন জোটের কর্তার কথায়, ‘‘বোর্ডের বৈঠকে নতুন ক্লাবের নাম ঠিক হবে। এ বার থেকে সেই নামেই আমরা সব প্রতিযোগিতায় খেলব। এটা নিয়ে কোনও সমস্যা নেই।’’ সবুজ-মেরুন সমর্থকদের একাংশ এটিকে-কে আশি শতাংশ মালিকানা বিক্রি করে দেওয়ার বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানালেও তা নিয়ে চিন্তিত নন মোহনবাগান সচিব। তাঁর কথায়, ‘‘ইস্টবেঙ্গল যদি লগ্নিকারী সংস্থার সঙ্গে জোট বেঁধে আইএসএলে খেলত, তা হলে মোহনবাগান সমর্থকেরা আমাদের ছেড়ে দিতেন না। একটা সময় ক্ষমতা ছাড়তেই হত। আমরা সেটাই করেছি।’’

সুখদেবের প্রত্যাখান: বেতন বকেয়া নিয়ে সুখদেব সিংহ বনাম মোহনবাগান দ্বৈরথ অব্যাহত। ২০১৮ সালে মিনার্ভা পঞ্জাব থেকে সবুজ-মেরুন শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন এই ডিফেন্ডার। মোহনবাগানের বিরুদ্ধে চুক্তি অনুযায়ী অর্থ না দেওয়ার অভিযোগ তিনি করেন সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনে।

বিষয়টি গড়ায় দেশের ফুটবল নিয়ামক সংস্থার প্লেয়ার্স স্টেটাস কমিটিতে। সুখদেবের দাবি অনুযায়ী বকেয়া বেতনের ২৫ লক্ষ টাকা দিতে রাজি নন সবুজ-মেরুন শিবিরের কর্তারা। তাঁরা সুখদেবকে ২০ লক্ষ টাকা নেওয়ার প্রস্তাব দেন। কিন্তু রাজি হননি মোহনবাগানের প্রাক্তন ডিফেন্ডার।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement