ত্রাতা: এটিকের দুই গোলদাতা এদু ও সুসাইরাজ (বাঁ দিকে)। আইএসএল
জয় দিয়ে আইএসএলের গ্রুপ পর্বের খেলা শেষ করার স্বপ্ন অধরাই থেকে গেল আন্তোনিয়ো লোপেস হাবাসের। তবে বেঙ্গালুরু এফসির বিরুদ্ধে প্রথমার্ধে ০-২ পিছিয়ে পড়েও যে ভাবে নাটকীয় ভাবে ঘুরে দাঁড়ালেন রয় কৃষ্ণেরা, তাতে উচ্ছ্বসিত হতেই পারেন এটিকের স্পেনীয় কোচ।
আইএসএলের শেষ চারে খেলা ইতিমধ্যেই নিশ্চিত করে ফেলেছে এটিকে ও বেঙ্গালুরু। শনিবারের ম্যাচ ছিল কার্যত নিয়মরক্ষার। এই কারণেই বেঙ্গালুরুর কোচ কার্লোস কুদ্রাত সুনীল ছেত্রী-সহ প্রথম দলের একাধিক ফুটবলারকে বিশ্রাম দিয়েছিলেন। তা সত্ত্বেও ম্যাচের ১৮ মিনিটে দিমাস দেলগাদোর গোলে এগিয়ে যায় গত বারের চ্যাম্পিয়নেরা। ৩৫ মিনিটে ২-০ করেন সদ্য দলে যোগ দেওয়া জামাইকা জাতীয় দলের স্ট্রাইকার কেভাউগন ফ্রাতের।
এটিকে কোচ অবশ্য কলকাতা ছাড়ার আগেই জানিয়েছিলেন, বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে ম্যাচ তাঁর কাছে অন্তত নিয়মরক্ষার নয়। হাবাসের পাখির চোখ, গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে জিতেই মাঠ ছাড়া। এই কারণেই প্রথম একাদশে খুব বেশি পরিবর্তন করেননি তিনি। ডেভিড উইলিয়ামস ও রয় কৃষ্ণকে রেখেই দল সাজিয়েছিলেন তিনি।
৩৫ মিনিটের মধ্যে ০-২ পিছিয়ে পড়ার পরে আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়াতে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই জোড়া পরিবর্তন করেন হাবাস। ডিফেন্ডার সুমিত রাঠির পরিবর্তে নামান মাইকেল সুসাইরাজকে। প্রণয় হালদারের জায়গায় নামান এদু গার্সিয়াকে। তাতেও গোল অধরা ছিল। ৭০ মিনিটে আর এক ডিফেন্ডার সালাম রঞ্জন সিংহকে তুলে নামান স্ট্রাইকার বলবন্ত সিংহকে। ৮৬ মিনিটে ডেভিডের পাস থেকে গোল করে ব্যবধান কমান এদু গার্সিয়া। ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে এদুর পাস থেকেই গোল করে এটিকের হার বাঁচান সুসাইরাজ।
রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে বেঙ্গালুরু বিরুদ্ধে হার বাঁচিয়ে ১৮ ম্যাচে ৩৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবলের দ্বিতীয় স্থানেই থাকল এটিকে। শীর্ষ স্থানে থাকা এফসি গোয়ার পয়েন্ট ১৮ ম্যাচে ৩৯। সমসংখ্যক ম্যাচ খেলে ৩০ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে এই মুহূর্তে সুনীল ছেত্রীরা। যদিও খুব একটা স্বস্তিতে থাকার উপায় নেই তাঁদের। কারণ ২৮ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছে চেন্নাইয়িন এফসি। আজ, রবিবার নর্থইস্ট ইউনাইটেড এফসির বিরুদ্ধে খেলবে তারা। জিতলে ৩১ পয়েন্ট নিয়ে বেঙ্গালুরুকে টপকে তৃতীয় স্থানে উঠে আসবে চেন্নাইয়িন।