ইয়ান হিউম। ছবি: ফেসবুক।
গোটা কলকাতা যখন দুর্গাপুজোর উৎসবে মাতোয়ারা, তখন তার থেকে কী করে নিজেদের দূরে সরিয়ে রাখতে পারেন আটলেটিকো দে কলকাতা ফুটবলাররা?
এমনকী পস্টিগা, হিউমরাও এটিকে ম্যানেজমেন্টের কাছে বায়না ধরেছেন দুর্গা ঠাকুর দেখতে যাওয়ার।
বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসবে নিজেদের হোটেলবন্দি করে রাখতে নারাজ জোসে ফ্রান্সিসকো মলিনার টিমের দেশি-বিদেশি ফুটবলাররা। পরের আইএসএল ম্যাচের প্রস্তুতির মাঝেই তাঁরা সময় বার করে শহরের মণ্ডপে মণ্ডপে ঘুরতে চান। গত বছরও হিউমরা মণ্ডপে মণ্ডপে ঘুরে ঠাকুর দেখেছিলেন। ঢাক বাজিয়েছিলেন। চুটিয়ে দুর্গাপুজো উপভোগ করেছিলেন। আটলেটিকোর এক কর্তা বললেন, ‘‘বাঙালি বা ভারতীয় ফুটবলার ছাড়াও বিদেশি ফুটবলাররা দুর্গা ঠাকুর দেখতে যাওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছে। আর আমাদেরও আপত্তি নেই। যে চাইবে যেতেই পারে। এটা তো বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসব। অবাঙালি, বিদেশি প্লেয়াররাও যদি এই উৎসবে সামিল হতে চায়, সেটা তো ভাল ব্যাপার।’’
পঞ্চমীর বিকেলে কোচি থেকে টিম এটিকে শহরে ফেরার পর বৃহস্পতিবারটা ছেলেদের ছুটি দেন কোচ মলিনা। কলকাতার ফুটবলাররা স্বাভাবিক ভাবেই যে যাঁর বাড়ি ফিরে যান। তবে শুক্রবার মহাষষ্ঠীর দিনই টিম হোটেলে লাঞ্চে দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার কথা তাঁদের। তার পরেই দুপুরে প্র্যাকটিস রয়েছে।
এক দিকে আগের দিনই কেরল ব্লাস্টার্সকে অ্যাওয়ে ম্যাচে হারিয়ে এসেছেন হিউমরা, তার উপর আবার পস্টিগার চোটও নাকি সে ভাবে গুরুতর নয়। হয়তো সে জন্য আরও বেশি ফুরফুরে মেজাজে এখন এটিকে শিবির। শুক্রবার পস্টিগার মেডিক্যাল টেস্টের রিপোর্ট পাওয়া গেলে আরও ভাল ভাবে তাঁর চোটের পরিস্থিতি জানা যাবে। তবে আটলেটিকো টিম সূত্রের খবর, বুধবার কেরলের বিরুদ্ধে ম্যাচে হঠাৎ করে পাঁজরে চোট পাওয়ায় সাময়িক শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল পস্টিগার। কিছু পরেই তা ঠিক হয়ে যায়। এমনকী বৃহস্পতিবার পর্তুগিজ স্ট্রাইকারকে দেখে অনেকের নাকি মনেও হয়নি তাঁর কোনও শারীরিক সমস্যা রয়েছে বলে।
এটিকের এক সদস্য বলছিলেন, ‘‘পরের মুম্বই সিটি ম্যাচেই পস্টিগা খেলবে। খুব গুরুতর চোট নয় বলেই মনে হচ্ছে। তবে মেডিক্যাল টেস্টের রিপোর্টের জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।’’ ১১ অক্টোবর মুম্বই বনাম কলকাতা। তার মাঝে চোটআঘাত এবং ক্লান্তি কাটিয়ে ওঠার জন্য বেশ কয়েকটা দিন পাচ্ছেন এটিকে ফুটবলাররা।