১৯৯৬ সালে সোমা বিশ্বাস সোনা জিতেছিলেন ৪১৭৯ পয়েন্ট পেয়ে।
একুশ বছর আগে রাজ্য অ্যাথলেটিক্সে হেপ্টাথলনে অনূর্ধ্ব-২০ বিভাগে গড়া সোমা বিশ্বাসের রেকর্ড ভেঙে দিলেন তৃষা ধর।
১৯৯৬ সালে সোমা সোনা জিতেছিলেন ৪১৭৯ পয়েন্ট পেয়ে। রবিবার সল্ট লেকের সাই ক্যাম্পাসে ৬৭তম রাজ্য অ্যাথলেটিক্সে ৪২১৮ পয়েন্ট নিয়ে পূর্বসূরিকে টপকে গেলেন সোদপুরের উনিশ বছরের মেয়ে তৃষা। যাঁর কোচিংয়ে সোমা রেকর্ড গড়েছিলেন, সেই কুন্তল রায়েরই ছাত্রী এই তৃষা। সোনা জয়ের পরেও অবশ্য খুব একটা উচ্ছ্বসিত নন হেপ্টাথলনে বাংলার নতুন প্রতিশ্রুতি। বললেন, ‘‘ভাল লাগছে সোমাদির রেকর্ড ভাঙতে পেরে। তবে ৮০০ মিটার দৌড়ে আমাকে আরও উন্নতি করতে হবে।’’ তৃষার বাবা তপন ধর-ও অ্যাথলিট ছিলেন। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের কর্মীর ইভেন্ট ছিল ১০০ মিটার দৌড়। তবে জেসিকা এলিসের ভক্ত তৃষা হেপ্টাথলনকে বেছে নিয়েছেন কোচের পরামর্শেই।
চারুচন্দ্র কলেজে বিএ প্রথম বর্ষের ছাত্রী তৃষা। কলেজে অ্যাথলেটিক্সের দায়িত্বে আবার সোমার স্বামী সমীর বেরা। ২০০২ বুসান এশিয়াডে রুপোজয়ী সোমা বলছিলেন, ‘‘রেকর্ড হাতছাড়া হওয়ায় একেবারেই হতাশ নই। দ্বিগুণ আনন্দ হচ্ছে। তৃষা আমার মতোই কুন্তল স্যারের হাতে তৈরি। তাছাড়া ও আমার স্বামীর কলেজের ছাত্রী। তৃষাকে অভিনন্দন। ও যেন আরও সাফল্য পায়।’’
রবিবার আরও একটা রেকর্ড হয়েছে রাজ্য অ্যাথলেটিক্সে। ৪x৪০০ মিটার রিলেতে অনূর্ধ্ব-২০ বিভাগে ইস্টবেঙ্গলকে সোনা দিলেন চন্দন বাউরি, শান্তু বিশ্বাস, সৌরভ ঘোষ ও সুজয় সোরেন। ৩ মিনিট ২৪.৬ সেকেন্ডে তাঁরা দৌড় শেষ করেন। তবে ৪০৬ পয়েন্ট পেয়ে ৬৭তম রাজ্য অ্যাথলেটিক্সে চ্যাম্পিয়ন উত্তর চব্বিশ পরগনা। দ্বিতীয় ইস্টবেঙ্গল (৩৯৫)। তৃতীয় নদিয়ার (২৬৬.৫)। প্রতিযোগী না পাওয়ায় বাতিল করে দেওয়া হয় পোলভল্টের ইভেন্ট!