ইতিহাস গড়া তীরন্দাজ দম্পতি অতনু দাস ও দীপিকা কুমারী নিজস্ব চিত্র
চোখে চোখেই কথা হয়ে গিয়েছিল। দীর্ঘ দশ বছরের বন্ধুত্বের সম্পর্কে তাই মুখে নতুন করে কিছু বলতে হয়নি তীরন্দাজ দম্পতি অতনু ও দীপিকাকে। লকডাউনের মধ্যেই চার হাত এক হয়েছে। বিয়ের অনুষ্ঠান পরে হওয়ার কথা থাকলেও অলিম্পিক্সের কথা মাথায় রেখে তাড়াতাড়িই সেরে ফেলেন শুভ কাজ। ভাগ্যিস তা করেছিলেন। কারণ করেছিলেন বলেই, প্রথম ভারতীয় দম্পতি হিসেবে টোকিয়ো অলিম্পিক্সে যাচ্ছেন অতনু দাস ও দীপিকা কুমারী।
আনন্দবাজার ডিজিটালকে ফোনে অতনু বলেন, ‘‘রেকর্ডের কথা জানতাম না একেবারেই। কিছুই ভেবে করিনি। শুধু খেলার ওপরেই দুজন মন দিয়েছি।’’ খেলায় মন দেওয়ার পাশাপাশি একে অপরকেও যে মন দিয়েছেন তা কী করে বুঝতে পারলেন? এমন প্রশ্নে লজ্জা পেয়ে গেলেন অতনু। সামলে বললেন, ‘‘সত্যি বলতে আমরা বুঝিনি একেবারেই। চোখে চোখে কথা হয়েছে। আলাদা করে কেউ কাউকে প্রস্তাব দিইনি। ছোট থেকেই বন্ধু ছিলাম। তারপর বড় হওয়ার সাথে সাথে সম্পর্ক পরিণতি পায়।’’
তবে অলিম্পিক্সে যাওয়া নিয়ে বিরাট উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে নারাজ অতনু। তিনি বলেন, ‘‘সবে ছাড়পত্র পেয়েছি। এখনও অনেক কিছু বাকি আছে। অবশ্যই এই ছাড়পত্রটাও বিরাট ব্যাপার। তবে অনেক মাইল এগোতে হবে। আমরা ধাপে ধাপে সবটা করতে চাই। সামনে তিনটি বিশ্বকাপ রয়েছে। এই তিন বিশ্বকাপেই ভাল ফল করে আত্মবিশাস বাড়িয়ে নিতে চাই।’’
অলিম্পিক্স থেকে ভারতের জন্য পদক জেতাই লক্ষ্য এই তীরন্দাজ দম্পতির। সেই লক্ষ্যে পৌঁছতে দিন রাত পরিশ্রম করছেন তাঁরা। মানসিক প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছেন অতনু ও দীপিকা। এর আগে দুবার অলিম্পিক্সে গিয়েছেন অতনু আর তিনবার গিয়েছেন দীপিকা। এবার একসঙ্গে লড়বেন দেশকে পদক এনে দিতে।