এক) বুমরাহ-নেহরা বনাম খোয়াজা-ফিঞ্চ
ফিঞ্চের সীমিত ওভারে ব্যাটিং রেকর্ড আর খোয়াজার হালফিলের বিধ্বংসী ফর্ম। যা আটকাতে মোহালির শক্তপোক্ত উইকেটে বুমরাহর ইয়র্কার এবং নতুন বলে নেহরার সুইং কার্যকর হবে।
দুই) স্মিথ-ম্যাক্সওয়েল বনাম অশ্বিন-জাডেজা
ধরে নিচ্ছি এটা মিডল ওভার্সের লড়াই। স্মিথের সিঙ্গলস নেওয়া আটকাতে হবে। ম্যাক্সওয়েল আবার বোলার নয়, ফিল্ড প্লেসিং দেখে বিগ হিট নেয়। সে জন্য ভারতীয় স্পিন জুটির সে ভাবেই টাইট বোলিং দরকার আর ধোনির বুদ্ধিদীপ্ত ফিল্ড দেওয়া উচিত ওর বোলারদের।
তিন) হ্যাজলউড বনাম রোহিত
বিশ্বকাপের আগে পর্যন্ত ভারতের টপ অর্ডারে তিন জনের কেউ না কেউ কুড়ি ওভারের অন্তত ১৫-১৬টা খেলে দিচ্ছিল। এই টুর্নামেন্টে ওপেনাররা সেটা এখনও পারেনি। যদিও ধবনের চেয়ে এ কাজে রোহিতের স্কিল বেশি। হ্যাজলউডের পেস, বাউন্স, উইকেট-টু-উইকেট বোলিং প্রথম দিকে একটু দেখেশুনে খেলে রোহিতের ১৫ ওভার পর্যন্ত একটা দিক ধরে রাখতে হবে। অন্য দিকে যাতে কোহালিরা ঝড় তুলতে পারে আরও খোলা মনে। রোহিত নিজেও তো জমে গেলে বিধ্বংসী।
৪) জাম্পা বনাম কোহালি
অস্ট্রেলিয়া ‘এ’-র হয়ে ভারতে আগে খেলে যাওয়ার ফায়দা বিশ্বকাপে দারুণ তুলছে লেগ স্পিনার জাম্পা। তা ছাড়া ব্যাটসম্যানের দুর্বলতা খুব তাড়াতাড়ি পড়ে ফেলার ক্ষমতা আছে ওর। কোহালি আবার চ্যালেঞ্জ নিতে পছন্দ করে। জাম্পার চারটে ওভার তাই কোহালি তথা ভারতীয় ব্যাটিংয়ের কাছেই খুব গুরুত্বপূর্ণ । তবে মোহালি পিচ রহস্য তৈরি করে শনিবার দিনভর ঢাকা থাকলেও মনে হয় না, নাগপুরের মতো টার্নার করা যাবে। তাই ব্যাট-বলের সমান লড়াই দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা।
পাঁচ) ধোনির ফিফথ বোলার
মোটামুটি স্পোর্টিং উইকেট থাকবে ধরে নিলে ধোনি ফিফথ বোলারের চারটে ওভার কী ভাবে খাওয়ায় সেটা দেখার। একটু ভাল উইকেটেও হার্দিক-রায়না (যুবরাজকে ক্যাপ্টেন তো বলই দিচ্ছে না বিশ্বকাপে) কিন্তু ঠ্যাঙানি খেয়ে যেতে পারে অজিদের ব্যাটে। ওই চারটে ওভারে ৫০ রান খরচা হয়ে গেলে ভারতের কপালে কিন্তু দিনের শেষে দুঃখ আছে।