৫ বছর ৯ মাস ৩০ দিন পর সেঞ্চুরি করলেন যুবরাজ সিংহ। শেষ শতরান করেছিলেন ২০১১ বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে। পরবর্তী ১৭ ইনিংসে তাঁর গড় ছিল ১৯-এর নীচে।
বিশ্বের ছ’নম্বর এবং প্রথম ভারতীয় ব্যাটসম্যান হিসাবে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১৫০ করলেন যুবি।
বিশ্বে এই তৃতীয় বার পঁয়ত্রিশোর্ধ্ব জুটির দু’জনেই শতরান করলেন। এর আগের দু’বার এই নজির রয়েছে সঙ্গাকারা-দিলশন জুটির।
যুবি-ধোনি যুগলবন্দিতে ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টানা পাঁচ বার ওয়ানডে সিরিজ জিতল ভারত। ভারতে শেষ বার ইংল্যান্ড সিরিজ জিতেছিল ১৯৮৪-৮৫ সালে।
ভারতের মাটিতে একটি এক দিনের ম্যাচে মোট রানের বিচারে কালকের ম্যাচ দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে রাজকোটে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ম্যাচে মোট ৮২৫ রান উঠেছিল। কাল কটকে উঠেছে ৭৪৭।
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে মোট রানের বিচারে বিশ্বে এটা তৃতীয় সর্বোচ্চ। এক নম্বরে নিউজিল্যান্ডের ৩৯৮, দু’নম্বরে ভারতের ৩৮৭।
ওয়ান ডে ক্রিকেটের ইতিহাসে এই নিয়ে ২৩ বার ৩৫০-এর গণ্ডি পেরলো ভারত। এই নজির বিশ্বে আর কোনও দলের নেই।
চতুর্থ উইকেটে যুবি-ধোনির ২৫৬ রানের পার্টনারশিপ ভারতের মাটিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এক নম্বরে রয়েছে জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে আজহার-জাডেজার ২৭৫ রানের পার্টনারশিপ।
যুবি-ধোনির আগে মাত্র চার জন ভারতীয় জুটি হিসাবে শতরান করেছেন। এই চার জুটির মধ্যে তিন বারই ছিলেন সচিন তেন্ডুলকর।
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে এটাই ধোনির প্রথম শতরান। এর আগে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভারতের প্রাক্তন অধিনায়কের সর্বোচ্চ রান ছিল ৯৬।
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে যুবরাজের এটা চতুর্থ শতরান। ভারতের আর কোনও ক্রিকেটেরের ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে এত সেঞ্চুরি নেই। মর্গ্যানদের বিরুদ্ধে মোট সেঞ্চুরির বিচারে বিশ্বে যুবরাজ দু’নম্বরে। পাঁচটি করে শতরান করে এক নম্বরে রয়েছেন পন্টিং এবং জয়বর্ধনে।
ভারতীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি রান এবং শতরান যুবরাজেরই। আইসিসির পূর্ণ সদস্য দেশগুলির মধ্যে একমাত্র ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধেই যুবির গড় ৫০-এর উপরে।