ভারতের কোচিং করার একরাশ স্বপ্ন নিয়ে আবেদন জানিয়েছিলেন গত ১৮ মাস ভারতীয় ক্রিকেট দলের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর। কিন্তু সব জল্পনাকে পিছনে ফেলে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়রা বেছে নিয়েছেন অনিল কুম্বলেকে। কুম্বলের কাছে এই হার একদমই মেনে নিতে পারেননি রবি শাস্ত্রী। তার পর থেকেই তিনি প্রতিদিন কোনও না কোনওভাবে আঙুল তুলছেন সৌরভের দিকেই। তাঁর মতে, সৌরভ চাননি তাঁকে। ঘুরিয়ে তিনি এমনই বলতে চেয়েছেন। যা খবর রবি শাস্ত্রীর প্রেজেন্টেশনের সময় নাকি ছিলেন না সৌরভ। সেই সময়ই নিজের বই প্রকাশের অনুষ্ঠানে চলে গিয়েছিলেন তিনি। সচিন, লক্ষ্মণ ও বিসিসিআই সচিব সঞ্জয় জাগদালের সামনে ভিডিও কনফারেন্সে ইন্টারভিউ দেন শাস্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘আমি এটাই বলতে পারি আমার ইন্টারভিউয়ের সময় সৌরভ ছিল না। আপনাদের ওর কাছে জানতে চাওয়া উচিত ওর আমার সঙ্গে কী সমস্যা।’’
যদি রবি শাস্ত্রী তাঁর হতাশা চেপে রাখতে পারেননি। থাইল্যান্ড থেকে ছুটি কাটিয়ে দেশে ফিরেই শাস্ত্রীর এই মন্তব্যে দু’জনের মধ্যের পুরনো সমস্যা আবার নতুন করে সামনে চলে এল। যদিও তিনি জানিয়ে দিয়েছেন এখন আর হতাশা নেই। বলেন, ‘‘আ্মার হতাশা একদিনের জন্য ছিল। যখন আমাকে কোচ হিসেবে নির্বাচিত করা হয়নি। কিন্তু সেটা গত সপ্তাহের ঘটনা। আমি সেই হতাশা থেকে বেরিয়ে এসেছি।’’ ইন্টারভিউর সময় সচিন, লক্ষ্মণদের সঙ্গে কথোপকথনে যে তিনি খুশি ছিলেন তাও জানিয়ে দিলেন। বলেন, ‘‘সচিন, লক্ষ্মণ ও সঞ্জয় জাগদলের সঙ্গে ভারতীয় ক্রিকেটের ভবিষ্যত নিয়ে খুব ভাল আলোচনা হয়েছিল। এছাড়াও আমার সময়ে ভারতীয় দলের সাফল্য নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমার মনে হয় বিদেশের মাটিতে সেই সময় ভাল খেলেছে দল। পুরো দল মুখিয়ে থাকত সাফল্যের জন্য। টেস্ট ক্রিকেটে আমরা এখন আর শীর্ষে নেই কারণ গত ছ’মাস আমরা টেস্ট খেলিনি।’’
তবে এখন এই পুরো ঘটনাটি ভুলে এগোতে চান শাস্ত্রী। এই নিয়ে আর আলোচনা চান না তিনি। বলেন, ‘‘সৌরভকে নিয়ে আর কিছু বলব না। গতরাতে বিদেশ থেকে ফেরার পর থেকে বিশ্রামের সময় পাইনি। আমার আর কিছু বলার নেই। যে ১৮ মাস আমি ভারতীয় দলের সঙ্গে ছিলাম সেটা ছিল জীবনের একটা খুব সুন্দর সময়।যখন আমরা কোনও দায়িত্ব নেই তখন একটা টার্গেট সেট করি। সেটা যে সব সময় ছোয়া যায় তা নয়। যা সাফল্য এসেছে সেটা পুরো দলের কৃতিত্ব।’’
আরও খবর
৩০ সেপ্টেম্বর ইডেনে ভারত-নিউজিল্যান্ড টেস্ট