ফরচুনাতো ফ্র্যাঙ্কো। ফাইল ছবি
প্রয়াত হলেন ফরচুনাতো ফ্র্যাঙ্কো। সোমবার সকালে ভারতের জাতীয় দলের এই প্রাক্তন ফুটবলারের মৃত্যু হয়। তবে কোভিডের কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে কিনা স্পষ্ট জানা যায়নি। বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। গোয়া থেকে একমাত্র অলিম্পিয়ান ছিলেন তিনি।
কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সাম্প্রতিক ফল নেগেটিভ এসেছিল। গত কয়েকদিন ধরেই গোয়ার এক হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছিলেন। আইসিইউ-তে ভর্তি ছিলেন। শেষ রক্ষা হল না।
ভারতীয় ফুটবলে সত্তরের দশকে ফ্র্যাঙ্কো ছিলেন অন্যতম সেরা ফুটবলার। পি কে বন্দ্যোপাধ্যায়, চুনী গোস্বামী, তুলসীদাস বলরাম, প্রশান্ত সিংহ, জার্নেল সিংহদের ওই দলকে ভারতীয় ফুটবলের সোনালি যুগ বলা হত। সেই দলে আলাদা করে জায়গা করে নিয়েছিলেন ফ্র্যাঙ্কো। শুরু করেছিলেন রাইট-হাফ হিসেবে। পরে মিডফিল্ডে জায়গা করে নেন। মারিও কেম্পিয়া তখন মিডফিল্ডে খেলতেন। তাঁকে সরিয়ে প্রথম একাদশে নিয়মিত জায়গা পেতে থাকেন ফ্র্যাঙ্কো। প্রশান্তের সঙ্গে মিডফিল্ডে ভয়ঙ্কর জুটি তৈরি করেছিলেন।
দেশের হয়ে ৫০টিরও বেশি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। যদি ভারতীয় ফুটবল সংস্থার মতে, তিনি জাতীয় দলের ২৬টি ম্যাচ খেলেছেন। তাঁর মৃত্যুতে শোকজ্ঞাপন করেছেন এআইএফএফ সভাপতি প্রফুল পটেল।
১৯৬০-এ রোম অলিম্পিক্সের দলে তিনি ছিলেন। তবে আসল সাফল্য এসেছিল ১৯৬২-র এশিয়ান গেমসে। ফাইনালে ভারত ২-১ ব্যবধানে হারিয়েছিল প্রবল শক্তিধর দক্ষিণ কোরিয়াকে। ওই ম্যাচে ফ্র্যাঙ্কোর ফ্রি-কিকে মাথা ছুঁইয়েই জয়সূচক গোল করেছিলেন জার্নেল। ১৯৬৪-তে মারডেকা কাপে রানার্স হওয়া ভারতীয় দলেও ছিলেন তিনি। ১৯৬৬-তে স্থানীয় একটি ফুটবল ম্যাচে হাঁটুতে ভয়ঙ্কর চোট পাওয়ায় তাঁর ফুটবল জীবন শেষ হয়ে যায়।
গোয়ার বেশিরভাগ ফুটবলারের মতো তাঁরও ক্লাব ফুটবল কেটেছে মুম্বইয়ে। টাটা স্পোর্টিং ক্লাবের হয়ে দীর্ঘদিন খেলেছে। পরে খেলেন সালগাঁওকরের হয়ে। মহারাষ্ট্রের সন্তোষ ট্রফি দলের অধিনায়ক ছিলেন। ১৯৬৩-৬৪ মরসুমে তাঁর নেতৃত্বে অন্ধ্র প্রদেশকে ১-০ ব্যবধানে হারিয়ে সন্তোষ ট্রফি জেতে মহারাষ্ট্র।