প্রথম ম্যাচে হংকংয়ের বিরুদ্ধে কিছুটা বেগ পেতে হয়েছিল। কিন্তু, তার পরই যেন নতুন উদ্যম পেয়ে যায় টিম ইন্ডিয়া। প্রথমে পাকিস্তান, তার পর বাংলাদেশ। পর পর দুই বড় ম্যাচ হেলায় জিতল রোহিতের দল। দুবাইতে শুক্রবারের রাতে স্রেফ উড়ে গেল বেঙ্গল টাইগাররা। ঠিক কোন জায়গায় বাংলাদেশকে মাত দিল ভারত? দেখে নেওয়া যাক এক নজরে।
প্রথমেই বলতে হবে বাংলাদেশের ওপেনার তামিম ইকবালের অনুপস্থিতির কথা। চোট পেয়ে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যাওয়ার ফল ভুগতে হল দলকেই। তামিমের অভাব ভাল মতোই টের পাচ্ছে দল।
তামিমের অভাব মেটাবেন এই আশা করা গিয়েছিল দলের অন্যতম অভিজ্ঞ ক্রিকেটার শাকিব-আল-হাসানের কাছ থেকে। কিন্তু, এ দিনের ম্যাচে তেমন কিছুই করতে পারলেন না। শাকিবের ব্যর্থতা বাংলাদেশের কাছে বড় ধাক্কা। তবে এ দিন শাকিবকে বোকা বানিয়ে আউট করার পিছনে ধোনির ভূমিকার কথা বলতেই হবে।
হার্দিকের চোটের যেন শাপে বর হয়েছে ভারতের কাছে। সুযোগ পেয়েই রবীন্দ্র জাদেজা বুঝিয়ে দিলেন তিনি কতটা কার্যকরী। একাই চার উইকেট তুলে বাংলাদেশের সব প্রতিরোধ ভেঙে দিলেন।
ভারতীয় পেস জুটি বুমরা এবং ভুবনেশ্বরের আঁটোসাটো বোলিং বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের পক্ষে রান তোলা কঠিন করে দেয় প্রথম থেকেই। প্রথম থেকে ভুবনেশ্বর এবং বুমরাকে সামলাতে নাজেহাল হয়ে পড়েন লিটন-নাজমুলরা। ওপেনারদের ব্যর্থতায় প্রথম থেকেই দিশাহারা হয়ে পড়ে গোটা দল।
লোয়ার মিডলের ব্যাটসম্যানরা কিছুটা লড়াই করায় দেড়শো রানের গণ্ডি টপকায় বাংলাদেশ। কিন্তু, বাংলাদেশি বোলারদের বিন্দুমাত্র মাথা তোলার সুযোগ দিলেন না রোহিত শর্মা-শিখর ধওয়নরা। শুরুতেই ভারতীয় ওপেনাররা যে ঝড় তুলেছিলেন, তাতেই বেসামাল হয়ে যায় বাংলাদেশের সব আক্রমণ।
দুই ভারতীয় ওপেনারের বিধ্বংসী শুরু দলের জয়কে নিশ্চিত করে দেয়। তবে আলাদা করে বলতেই হবে রোহিত শর্মার কথা। অধিনায়কের দায়িত্ব পাওয়ার থেকে যেন নতুন রূপে পাওয়া যাচ্ছে তাঁকে। এক দিকে যেমন বুদ্ধিদিপ্ত অধিনায়কত্ব, অন্য দিকে তেমনই ব্যাটিংয়ে মূল শক্তি হয়ে উঠছেন। এ দিনও এক অসাধারণ ইনিংস খেললেন।