পুণে কোচ স্টিফেন ফ্লেমিং। ছবি: সংগৃহীত।
অশ্বিনের চোট নিয়ে যে খুব একটা ধারণা ছিল, পুণে সুপার জায়ান্ট কোচ স্টিফেন ফ্লেমিংয়ের এমনটা নয়। দেশের হয়ে টানা টেস্ট খেলছিলেন তিনি। একটিও ম্যাচে বাইরে বসতে হয়নি। কিন্তু তার ফলে চোট যে এতটা বেড়ে যাবে তা কে জানত। টেস্ট সিরিজ শেষে সকলেই আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজিতে যোগ দিয়েছেন। তার মধ্যে অনেকেই পারেননি। সেই তালিকাটাও নেহাৎই কম নয়। সেখানে বিরাট কোহালি থেকে রবীন্দ্র জাডেজা, অশ্বিন থেকে লোকেশ রাহুল কে নেই। সামনেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি তার আগে দেশের সেরা প্লেয়ারদের চোট নিয়ে এমনিতেই চিন্তায় বিসিসিআই। তার উপর আইপিএল। আদৌ কে ক’টা ম্যাচ খেলতে পারবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। রবিচন্দ্রন অশ্বিন আইপিএল অবশ্য পুরোটাই খেলতে পারবেন না। হার্নিয়া অপারেশন হবে তাঁর। অশ্বিনের না থাকা পুণে দলের জন্য একটা বড় ধাক্কা। তার আগেই ছিটকে গিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার নিচেল মার্শ। তাঁর জায়গা দলে নেওয়া হয়েছে তাহিরকে। এ বার অশ্বিনের না থাকায় ফ্লেমিংয়ের মাথায় হাত। তিনি বলেন, ‘‘অশ্বিন আমাদের পরিকল্পনার একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিল। ওকে না পাওয়াটা দলের জন্য হতাশাজনক। তবে এটাও স্বাভাবিক ও গত ছ’মাস ধরে যে টানা ক্রিকেট খেলেছে তাতে চোট হওয়াটাই স্বাভাবিক।’’
ফ্লেমিং এমন এক ক্রিকেটার যিনি আইপিএল-এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে একদম শুরু থেকেই। প্রথম বছর প্লেয়ার হিসেবে থাকলেও দ্বিতীয় বছর থেকেই তিনি কোচ। একইভাবেই তাঁরই দলের প্লেয়ার ধোনিও তাই। তিনিও খেলেছেন প্রথম আইপিএল থেকেই। এই দু’জনের কম্বিনেশনে ভাল ফলের আশা দেখলেও ধোনির উপর ভরসা রাখতে পারেনি দলের মালিক। তাই তাঁকে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে সেই দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে স্টিভ স্মিথের উপর। ফ্লেমিং বলেন, ‘‘যদি আমাদের দলের দিকে তাকানো যায় দেখা যাবে আমাদের হাতে স্মিথ, দু’প্লেসি, রাহানের মতো প্লেয়ার রয়েছে। আর এর সঙ্গে রয়েছেন এমএস ধোনি। তাই শুধু স্টিভের অধিনায়কত্ব নিয়ে না ভেবে আমার ভাল লাগছে এরকম একটা দলের সঙ্গে কাজ করতে পারব। আমার কাছে কোচ হিসেবে সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ হল এই দলের ট্যালেন্টকে কাজে লাগানো।’’
আরও খবর: এই দিনেই শেষ বিশ্বকাপ জয় ভারতের, ফিরে দেখা গর্বের সেই মুহূর্ত
কিন্তু অশ্বিনের মতো প্লেয়ারের না থাকা দলকে সমস্যায় ফেললেও এখন আর তা নিয়ে ভাবতে রাজি নন তিনি। বরং দলের বাকিদের দিয়েই সাফল্যের পথে হাঁটতে চান ফ্লেমিং। বলেন, ‘‘অশ্বিনের চোট সম্পর্কে আমাদের ধারণা ছিল না যখন আমরা মার্শের জায়গা তাহিরকে নিয়েছিলাম। ও বিশ্বের সেরা টি২০ বোলার বলেই ওকে দলে নেওয়া হয়েছে। অদ্ভুতভাবে ওকে নিলামে কেউ দলে নেয়নি। অশ্বিনের অনুপস্থিতিতে অন্যান্য বোলারদের সঙ্গে নিয়ে তাহির নিজের সেরাটা দেবে। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই নিজেদের সেরাটা তুলে আনতে হবে। এই এক সপ্তাহের অনুশীলনের পর মনে হচ্ছে অনেকেই ভাল খেলে দলকে সাফল্য এনে দেবে। প্রথম কয়েকটি ম্যাচ না গেলে বোঝা যাবে না। কিন্তু দলের নবাগতদের স্কিলের দেখতে আমি মুখিয়ে রয়েছি। ’’