আউট রুট। উচ্ছ্বসিত ভারতীয়রা। ছবি: রয়টার্স।
ব্যাট হাতে দলের প্রয়োজনে মূল্যবান হাফ সেঞ্চুরি, আর তার পর বল হাতে দু’উইকেট। অশ্বিন ম্যাজিকে ভর করে বিশাখাপত্তনম টেস্টে দ্বিতীয় দিনের শেষে চালকের আসনে ভারত।
ভারতের অন্যতম সেরা অল রাউন্ডারদের পর্যায়ে কি নিজেকে ক্রমেই নিয়ে যাচ্ছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন? ওয়েস্ট ইন্ডিজে গিয়ে ক্যারিবিয়ানদের শাসন করে সেঞ্চুরি তালিকা থেকে না হয় বাদই দেওয়া গেল। এ ছাড়াও শেষ কয়েক মাসে দলের প্রয়োজনের সময়ে যে ভাবে ঝলসে উঠেছে তামিলনাডুর এই অফ স্পিনারের ব্যাট, তা দেখে তারিফ করছেন বাঘা ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরাও। শুক্রবারের বিশাখাপত্তনমও দেখল একই ছবি। অশ্বিনের ঝকঝকে হাফ সেঞ্চুরির সুবাদে ৪৫৫ করল টিম ইন্ডিয়া।
আর এর পর দেখা গেল বল হাতে অশ্বিন ম্যাজিক। কুক-হামিদরা আউট হলেও উইকেটের সঙ্গে তখন ক্রমেই মানিয়ে নিচ্ছেন জো রুট। করে ফেলেছেন হাফ সেঞ্চুরি। সাত রানের ব্যবধানে আউট বেন ডাকেট এবং জো রুট। এই এক স্পেলের সুবাদেই দ্বিতীয় দিনের শেষে চালকের আসনে ভারত।
ফের ঝলসে উঠল অশ্বিনের ব্যাট। ছবি: রয়টার্স।
এ দিন সকালে দর্শক বিশাখাপত্তনমের স্টেডিয়াম ভরিয়েছিল বিরাটের ডাবল সেঞ্চুরি দেখবে বলে। শুরুটাও ভালই করেছিলেন ভিকে। পর পর দু’টি বাউন্ডারিতে আশায় বুক বাঁধতে শুরু করেন তামাম দর্শক। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। গত কালের সঙ্গে ১৬ রান যোগ করে মইন আলির একটি বল ড্রাইভ করতে গিয়ে স্লিপে ক্যাচ তুলে ফেরেন তিনি। বেশি ক্ষণ টেকেননি ঋদ্ধিমান, জাডেজাও। এর পরেই ৩৫১/৪ থেকে দ্রুত ৩৬৩/৭ হয়ে যায় ভারত। এর পরেই নবাগত জয়ন্ত যাদবের সঙ্গে হাল ধরেন অশ্বিন। অষ্টম উইকেটে ৬৪ রানে মূল্যবান পার্টনারশিপ করেন তাঁরা। স্টোকসের বলে আউট হওয়ার আগে ৫৮ রান করেন তিনি। তাঁকে যোগ্য সহায়তা করেন জয়ন্তও। জীবনের প্রথম টেস্ট ইনিংসে তাঁর অবদান ৩৫। শেষ দিকে কিছুটা ব্যাট চালিয়ে দলকে ৪৫০-র গণ্ডি পার করেন উমেশ যাদব এবং মহম্মদ শামি।
জবাবে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ১০৩ রান করেছে ইংল্যান্ড। ভারতের চেয়ে পিছিয়ে ৩৫২ রানে।