হতাশ: আইসিসি-র নির্বাসনের সিদ্ধান্তে বিমর্ষ অশ্বিন। ফাইল চিত্র
ক্রিকেটে সরকারি হস্তক্ষেপের ‘অপরাধে’ আন্তর্জাতিক আসর থেকে নির্বাসিত অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার, গ্র্যান্ট ফ্লাওয়ার, হিথ স্ট্রিক, জন ট্রাইকসদের দেশ জ়িম্বাবোয়ে।
আইসিসি-র এ হেন সিদ্ধান্তে শোকস্তব্ধ সে দেশের ক্রিকেট-মহল। নামী ক্রিকেটার সিকন্দর রাজা থেকে প্রায় সবাই মনে করছেন, দুর্ভাগ্যজনক এই ঘটনায় তাঁদের ক্রিকেট-জীবনই কার্যত শেষ হয়ে গেল। ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন ভারতের স্পিনার আর অশ্বিনও। তিনি টুইট করেছেন, ‘‘হৃদয়বিদারক ঘটনা। আশা করি, ভবিষ্যতে জ়িম্বাবোয়ে আবার ফিরে আসবে নতুন শক্তি নিয়ে।’’
ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী, যে কোনও দেশেই ক্রিকেট প্রশাসন স্বাধীন ভাবে কাজ করবে। সেখানে কোনও সরকারি হস্তক্ষেপ চলবে না। জ়িম্বাবোয়ের ক্ষেত্রে তার ব্যতিক্রম হওয়ায় কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে বলে জানিয়েছে আইসিসি। যদিও এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছেন জ়িম্বাবোয়ের ক্রীড়ামন্ত্রী কার্স্টে কভেন্ট্রি। তিনি টুইট করেছেন, ‘‘বোর্ডের কাজে সরকার আদৌ হস্তক্ষেপ করেনি। ফলে এই সিদ্ধান্তে আমরা বিস্মিত হয়ে গিয়েছি। আমাদের ক্রিকেটারেরা যে ভাবে আক্রান্ত হলেন, তা দুঃখজনক। ’’
ঘটনার খবর পেয়ে সিকন্দর রাজা টুইট করেছেন, ‘‘ভাবছি কী ভাবে একটা সিদ্ধান্ত একটা গোটা দলকে আগন্তুকে পরিণত করতে পারে। কী ভাবে একটা সিদ্ধান্ত বহু-বহু ক্রিকেটারের ক্রিকেট জীবনই শেষ করে দিতে পারে।’’ জিম্বাবোয়েরে আর এক প্রাক্তন অধিনায়ক ব্রেন্ডন টেলর লিখেছেন, ‘‘এর চেয়ে হৃদয়বিদারক সিদ্ধান্ত আর কিছু হতে পারে না। ’’
আইসিসির সিদ্ধান্ত জানার প্রায় সঙ্গে সঙ্গে জিম্বাবোয়ের অলরাউন্ডার সলোমন মায়ার অবসর নিয়ে ফেললেন। এ দিকে, আইসিসি-র সিদ্ধান্ত নিয়ে কড়া নজর রাখছে ভারতীয় বোর্ডও। আগামী বছরের জানুয়ারিতে ভারত সফরে আসার কথা ছিল তাদের। বোর্ডের জনৈক আধিকারিক জানিয়েছেন, ১৬ অক্টোবর আইসিসি-র বৈঠক রয়েছে। আগামী তিন মাস অপেক্ষা করেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে বোর্ড।