ডিন্ডার নাটকীয় শেষ ওভারে হার দিল্লির

ডিন্ডা ছাড়াও বাংলাকে জেতাতে সাহায্য করেন দলের আরও দুই পেসার। কণিষ্ক শেঠ ও সায়ন ঘোষ। প্রথম ছ’ওভারের মধ্যেই দিল্লির তিন তারকা ব্যাটসম্যানকে আউট করেন বাঁ-হাতি পেসার কণিষ্ক শেঠ।

Advertisement

ইন্দ্রজিৎ সেনগুপ্ত

শেষ আপডেট: ২৪ জানুয়ারি ২০১৮ ০৪:১৯
Share:

দুরন্ত: বাংলাকে জিতিয়ে ডিন্ডা। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক

সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির মূল পর্বের ম্যাচে তিন রানে দিল্লিকে হারিয়ে গ্রুপের লড়াই জমিয়ে দিলেন মনোজ তিওয়ারিরা। অশোক ডিন্ডার নাটকীয় শেষ ওভারেই রুদ্ধশ্বাস জয় পেল বাংলা। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সল্টলেক ক্যাম্পাসের মাঠে মঙ্গলবার শেষ ওভারে ন’রান বাকি থাকতে বল করতে এসেছিলেন নৈছনপুর এক্সপ্রেস। দু’টি নো-বল করা সত্ত্বেও দিল্লিকে জেতাতে ব্যর্থ তাঁদের অধিনায়ক প্রদীপ সাঙ্গওয়ান। দিল্লিকে হারিয়ে রঞ্জি ট্রফির সেমিফাইনালে হারের যন্ত্রণাটা কিছুটা কমতে পারে মনোজ তিওয়ারিদের।

Advertisement

বাংলার ১৭১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শেষ তিনটি ওভারেই রং বদল হয় ম্যাচের। ১৭ ওভারে দিল্লির রান ছিল ১৫৫-৪। দিল্লির ১৮ বলে জেতার জন্য ১৬ রান বাকি থাকার সময় বল করতে আসেন সায়ন ঘোষ। সেই ওভারেই দু’রান দিয়ে ধ্রুব শোরের (৮৪) উইকেটটি নিয়ে দিল্লির উপর চেপে বসে বাংলা।

শেষ দু’ওভারে ১৪ রান দরকার ছিল দিল্লির জিততে। তখনই দলের অধিনায়ক ডিন্ডার সঙ্গে পরামর্শ করতে যান। ম্যাচের পরে সে কথাই জানিয়েছেন ডিন্ডা। বলেন, ‘‘আমি মনোজকে বুঝিয়ে বলেছিলাম শেষ ওভারে আমাকে ছয় থেকে সাত রান দে। তা হলে আমরা ম্যাচ জিতব।’’ আর সেটাই হল। ১৯তম ওভারে বল করতে গিয়ে পাঁচ রান দিয়ে একটি উইকেট নেন মনোজ। শেষ ওভারে ন’রান বাকি থাকতে বল করতে আসেন ডিন্ডা। ব্যাস। তাঁর ইয়র্কারের সামনে বেসামাল হয়ে হারতে হল দিল্লিকে। ম্যাচ শেষে ডিন্ডা আরও বলেন, ‘‘শেষ ওভারে যেটা করতে চেয়েছিলাম, সেটাই হয়েছে। ইয়র্কার দিতে গিয়ে দু’টি নো-বল করে ফেলি ঠিকই। কিন্তু আমার নিজের ওপর বিশ্বাস ছিল যে আমি পারব।’’

Advertisement

ডিন্ডা ছাড়াও বাংলাকে জেতাতে সাহায্য করেন দলের আরও দুই পেসার। কণিষ্ক শেঠ ও সায়ন ঘোষ। প্রথম ছ’ওভারের মধ্যেই দিল্লির তিন তারকা ব্যাটসম্যানকে আউট করেন বাঁ-হাতি পেসার কণিষ্ক শেঠ। ঋষভ পন্থ (৪), গৌতম গম্ভীর ও নীতীশ রানাকে (১) আউট করে বাংলাকে জয়ের আশা দেখালেন কণিষ্কই। চার ওভারে পঁচিশ রান দিয়ে পেলেন তিনটি উইকেট। আইপিএলের আগে এই টুর্নামেন্টে আবারও ব্যর্থ গম্ভীর। সাত বল খেলে তিনি করলেন মাত্র এক রান।

ভাল বল করলেন সায়ন ঘোষও। ২৪ রান দিয়ে তিনিও পেলেন তিনটি উইকেট। তবে এ দিনও প্রশ্ন উঠেছে বাংলার ফিল্ডিং নিয়ে। ডিন্ডা তো বলেই দিলেন, ‘‘ধ্রুব শোরের তিনটি ক্যাচ না পড়লে আমরা ম্যাচটা অনেক আগেই জিততে পারতাম। আমার বলেই দু’টি ক্যাচ পড়েছে।’’

টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মনোজ। টুর্নামেন্টের আরও একটি ম্যাচে মারমুখী মেজাজে নেমেছিলেন দলের দুই ওপেনার। তবে ৩৪ বলে ৫১ রান করে ফর্মে ফিরলেন দলের সহ-অধিনায়ক সুদীপ চট্টোপাধ্যায়। অন্য দিক থেকে সুদীপকে সহায়তা দিয়েছেন বিবেক সিংহ (৩২)।

ম্যাচ জিতলেও ফাইনালের আশা এখনও কঠিন মনোজদের। অঘটন না ঘটলে বাংলার পক্ষে ফাইনালে ওঠা বেশ শক্ত। ডিন্ডার মতে, অভিজ্ঞতার অভাবেই প্রথম দু’টি ম্যাচে হারতে হয়েছে বাংলাকে। ম্যাচ জিতে ডিন্ডার বক্তব্য, ‘‘প্রথম ম্যাচটা আমাদের জেতা উচিত ছিল। দলে সবাই তরুণ, তাই হয়তো অভিজ্ঞতার অভাব।’’

আজ বুধবার বাংলার সামনে তামিলনাড়ু। দিল্লির বিরুদ্ধে এই জয়ের আত্মবিশ্বাসটা মনোজরা কাজে লাগাতে পারেন কি না, এটাই দেখার।

সংক্ষিপ্ত স্কোর: বাংলা ২০ ওভারে ১৭০-৬, সুদীপ ৫১ (৩৪), দিল্লি ২০ ওভারে ১৬৭-৮, ধ্রুব ৮৪ (৪৬), সায়ন (৩-২৪), কণিষ্ক (৩-২৫)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement