বিস্ফোরণ ঘটল। আবার গুলিও চলল।
শুরুতেই গণ্ডগোলের ছোঁয়া লেগে থাকল রিও অলিম্পিক্সে। সাইক্লিং রেস চলছিল যেখানে, সেখানে এত ভিড় জমে যায় যে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে ‘কন্ট্রোলড এক্সপ্লোশন’ ঘটান ব্রাজিলের সেনাবাহিনী। যা রীতিমতো চমকে দেয় উপস্থিত জনতাকে। কিন্তু সেটা তবু বোঝা যায়। অবস্থা সামাল দিতে সেনাবাহিনী বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। কিন্তু গুলি? ডেওডোরোর মিডিয়া সেন্টারের কাপড় দেওয়া দেওয়াল ফুঁড়ে যা ঢুকে এল? কোনও ব্যাখ্যা নেই। গুলি কে চালিয়েছে, কোথা থেকে আচমকা দেওয়াল ফুঁড়ে গুলি উপস্থিত হল, কেউ জানে না!
ডেওডোরো আসলে ইকুয়েস্ট্রিয়ান খেলাধুলোর কেন্দ্র। প্রচারমাধ্যমের জন্য সেখানে একটা অস্থায়ী মিডিয়া সেন্টার তৈরি করা হয়েছে। এ দিন আচমকাই তার মধ্যে একটা গুলি ছিটকে ঢুকে আসে। কাপড়ের দেওয়াল ফুটো হয়ে যায়। আসলে আলোর আতসবাজিতে রিও অলিম্পিক্সের উদ্বোধন হলে কী হবে, ঝামেলা শুক্রবার থেকেই শুরু হয়েছে। মারাকানা স্টেডিয়ামে গত কালই এক অনুপ্রবেশকারীকে আটকাতে গুলি চালিয়েছে পুলিশ। অলিম্পিক বুলেভার্ডে আবার এক মহিলাকে গুলি চালিয়ে মেরেই ফেলা হয়েছে। সব মিলিয়ে, অলিম্পিক্সের উদ্বোধন যতই জমকালো হোক, তার পারিপার্শ্বিকে কাণ্ডকারখানা নিয়ে দুশ্চিন্তা থেকেই যাচ্ছে।