Sukhbeer Singh

সোনাজয়ী তীরন্দাজের অর্থসঙ্কট, খেলা ছেড়ে পাড়ি দিতে চান কানাডা

২০১৯ সালের অগস্ট মাসে সোনা জেতেন সুখবীর।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

পটিয়ালা শেষ আপডেট: ০৯ ডিসেম্বর ২০২০ ১৬:২৯
Share:

মাদ্রিদে সোনা জিতে সুখবীর (ডান দিকে)। ছবি: সোশ্যাল মিডিয়া

গত বছর তীরন্দাজির যুব বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে সোনাজয়ী ভারতীয় সুখবীর সিংহ ভুগছেন অর্থকষ্টে। এতটাই খারাপ দিকে এগিয়েছে পরিস্থিতি যে, তিনি তীরন্দাজি ছেড়ে দেবেন বলে ভাবতে শুরু করেছেন।

Advertisement

২০১৯ সালের অগস্ট মাসে সোনা জেতেন সুখবীর। সেই সময় তাঁকে আর্থিক পুরস্কার হিসেবে দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন পঞ্জাবের ক্রীড়ামন্ত্রী রানা গুরমিত সিংহ সোধি। ১৬ মাস পেরিয়ে গেলেও আজও তিনি সেই সাহায্য পাননি। সুখবীর বলেন, “ট্রাক চালাবো, রেস্তরাঁতে কাজ করবো। যাই করি, অন্তত শান্তিতে থাকব। এই অশান্তি নিয়ে খেলাতে মনোনিবেশ করতে পারছি না। মাদ্রিদে আমি সোনা জিতেছিলাম একটি পুরনো ধনুক নিয়ে। আমার বাবা তাঁর সঞ্চয় ভেঙে ৩ লাখ টাকা দিয়েছিলেন খেলার সরঞ্জাম কেনার জন্য। আমার বয়সি প্রতিযোগীদের হাতে অনেক আধুনিক ধনুক, সেখানে আমার কাছে ছিল অনেক পুরনো। তাও আমি ভেঙে পড়িনি।”

পঞ্জাবের ফিরজপুরে বড় হয়ে ওঠা সুখবীরের। সেই গ্রামেই বড় হয়েছেন সোধিও। ওই এলাকায় প্রায়ই নেশার কারণে মৃত্যু ঘটে বহু মানুষের। সেই কুসঙ্গ এড়িয়ে দাদা গুরলাল সিংহের তত্ত্বাবধানে তীরন্দাজি শেখেন সুখবীর। তাঁকে গ্রাম থেকে পটিয়ালা নিয়ে চলে আসেন গুরলাল। ১৬ বছর বয়সে প্রথম তীরন্দাজি শেখা শুরু সুখবীরের। ২০১৭ সালে স্কুল স্তরের প্রতিযোগিতায় প্রথম সোনা জয় তাঁর। পঞ্জাবকে সোনা এনে দেন যুব জাতীয় তীরন্দাজী চ্যাম্পিয়নশিপে। এখন সেই সব ছেড়ে তিনি কানাডার ভিসার জন্য আবেদন করেছেন, যদিও সেই দেশে গিয়ে কী করবেন, জানেন না সুখবীর।

Advertisement

আরও পড়ুন: পার্থিবের অবসর ঘোষণা, সরে দাঁড়ালেন সব ধরণের ক্রিকেট থেকে

আরও পড়ুন: পিঙ্ক বল টেস্টে নেই ওয়ার্নার, অনুশীলন ম্যাচে নামতে পারেন শামি, বুমরা​

এই মুহূর্তে সুখবীরের পরিবার রয়েছে দিল্লি বর্ডারের কাছে। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে যে কৃষকরা আন্দোলনে সামিল হয়েছেন তাঁদের সঙ্গে রয়েছে সুখবীরের পরিবার। সুখবীর বলেন, “কৃষিই আমাদের সব। ২০ একর জমি আছে আমাদের। আমরা কৃষকরাই খাবার যোগাই, অথচ তার বদলে আমরা পাচ্ছি জলকামান, কাঁদানে গ্যাস। আমার বাবা, দাদা সকলে রয়েছে সেই প্রতিবাদে। আমিও ছিলাম। কিছুদিন আগে ফিরেছি অনুশীলন করতে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement