আশাবাদী: ফরাসি ওপেনের মূলপর্বে খেলার দৌড়ে অঙ্কিতা। ফাইল চিত্র
আদপে কাশ্মীরের পণ্ডিত বংশের মেয়ে। কিন্তু টেনিস র্যাকেট তাঁর হাতে কথা বলে। অঙ্কিতা রায়না। পুণেবাসী পঁচিশ বছরের এই তরুণী ভারতের টেনিস ইতিহাসে নিজের জায়গা করে নিয়েছেন ফরাসি ওপেনের যোগ্যতা অর্জন রাউন্ডে খেলার সুযোগ পেয়ে। রোলাঁ গারোজে তাঁর জীবনের সব চেয়ে কাঙ্ক্ষিত, গ্র্যান্ড স্ল্যামে নামার স্বপ্ন পূরণ হতে পারে অবশেষে।
কোয়ালিফায়ারে নামার আগে আর একটি পালক কিন্তু যুক্ত হয়েছে তাঁর মুকুটে। টেনিসের বিশ্ব ক্রমতালিকায় সিঙ্গলসে দু’শো জনের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছেন অঙ্কিতা। এখন র্যাঙ্কিং ১৮৭। তবে তাঁর ফরাসি ওপেনে সুযোগ পাওয়া নিয়েই ভারতে এখন সব চেয়ে বেশি আগ্রহ। উত্তেজিত অঙ্কিতা নিজেও। যা বোঝা গিয়েছে তাঁর টুইটে। তিনি লিখেছেন, ‘‘স্বপ্ন সত্যি হল। অনেক দিন অপেক্ষা করেছি। পাগলের মতো খেটেছি। অনেক ভালবাসা আর প্রার্থনার পুরস্কার পেলাম।’’
প্যারিসে রোলাঁ গারোজের যোগ্যতা অর্জন পর্ব শুরু হচ্ছে মঙ্গলবার, ২২ মে। অঙ্কিতার খেলা কখন ও কার বিরুদ্ধে জানা যাবে কাল, সোমবার। প্যারিসে কোয়ালিফায়ারের সূচি তৈরি হবে বিকেল চারটে থেকে। মেয়েদের মধ্যে ১২ জন মূলপর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবেন। অংশগ্রহণকারী ৯৬ জনের মধ্য থেকে।
অঙ্কিতা নিজেও জানেন কাজটা কঠিন। বলেছেন, ‘‘আমি জানি সামনে কঠিনতম পরীক্ষা। আগে আমি নিজে প্যারিসে বসে কোয়ালিফায়ার দেখেছি। যারা খেলেছে তাদের অনেকের মুখোমুখিও হয়েছি অন্য নানা জায়গায়। শুধু ভেবেছি, অনেক ম্যাচে ওদের বিরুদ্ধে আমিও তো ভালই লড়েছি। এত দিন আমার মনে হত, কবে আমিও ওদের সঙ্গে প্যারিসে খেলতে পারব। শেষ পর্যন্ত সুযোগ এসেছে। এ বার আমায় নিজেকে প্রমাণ করতে হবে।’’
সেরিনা উইলিয়ামসের ভক্ত অঙ্কিতা। দারুণ লাগে মারিয়া শারাপোভাকেও। ‘‘আমি তো বড়ই হয়েছি এই দু’জনের খেলা দেখে। কখনও ওদের কোনও ম্যাচ দেখার সুযোগই ছাড়তাম না। ভাবতেই পারছি না, ওরা যেখানে খেলে এত নাম করেছে, অবিশ্বাস্য সব নজির গড়েছে, এ বার সেখানে আমিও র্যাকেট হাতে নামব। হলই বা কোয়ালিফায়ার। আহা, কখনও যদি ওদের বিরুদ্ধে নামতে পারতাম,’’ বলেছেন সানিয়া মির্জার উত্তরসূরি
অঙ্কিতা রায়না।