মেজাজে: জয় দিয়ে ফরাসি ওপেন শুরু অ্যান্ডি মারে-র। ছবি: রয়টার্স।
মেয়েদের শীর্ষবাছাই অ্যাঞ্জেলিক কের্বের আগেই ছিটকে গিয়েছিলেন। মঙ্গলবার ফরাসি ওপেনে তাই যাবতীয় আগ্রহ ছিল পুরুষদের শীর্ষবাছাই অ্যান্ডি মারেকে ঘিরে। টুর্নামেন্টের আগেই চোট আর ফর্মে না থাকার সমস্যায় ভুগছিলেন ব্রিটিশ এক নম্বর সিঙ্গলস খেলোয়াড়। তাই প্রথম রাউন্ডে তিনি কতটা দাপট দেখাতে পারেন সেটাই ছিল দেখার।
শেষ পর্যন্ত অবশ্য কোনও অঘটন ঘটল না। দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠলেন মারে। তবে একটা অস্বস্তির কাঁটা থাকল। বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে ৭৩ নম্বরে থাকা প্রতিদ্বন্দ্বী রাশিয়ার আন্দ্রেই কুজেনেৎসভের বিরুদ্ধে মারে জিতলেন বটে। তবে দ্বিতীয় সেট খুইয়ে। ফল ৬-৪, ৪-৬, ৬-২, ৬-০।
এ দিন সবচেয়ে বড় অঘটন ঘটালেন অবাছাই স্পেনের ফের্নান্দো ভার্দাস্কো। নবম বাছাই আলেকজান্ডার জেরেভকে হারিয়ে। ইতালিয়ান ওপেনের ফাইনালে নোভাক জকোভিচকে হারিয়ে হইচই ফেলে দেওয়া জেরেভকে ভার্দাস্কো হারান ৬-৪, ৩-৬, ৬-৪, ৬-২। ২০ বছর বয়সি জার্মান খেলোয়াড় মিউনিখ আর রোমে জেতার পর যে প্রত্যাশা তৈরি করেছিলেন সেটা যে এ ভাবে ভেঙে পড়বে সেটা নিজেও হয়তো ভাবতে পারেননি। তাই এক সময় কোর্টে হতাশায় র্যাকেটও ভাঙতে দেখা যায় তাঁকে। মেয়েদের সিঙ্গলসে আবার অঘটন চিনা তাইপের সু ওয়েই সিয়ের। তিনি সপ্তম বাছাই ব্রিটিশ তারকা জোহানা কন্টাকে ১-৬, ৭-৬ (২), ৬-৪ হারান।
পুরুষদের সিঙ্গলসে মঙ্গলবার নজর ছিল খুয়ান মার্টিন দেল পোত্রো, নিক কিরিয়স এবং স্ট্যানিসলাস ওয়ারিঙ্কার ওপরও। তিনজনই অবশ্য কোনও অঘটন না ঘটিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে পৌঁছে গেলেন।
পাঁচ বছর পরে রোলঁ গ্যারোজে নেমে দেল পোত্রো হারালেন সতীর্থ জুইডো পেল্লাকে ৬-২, ৬-১, ৬-৪। ঠিক একই সময় নেমেছিলেন নিক কিরিয়স। সপ্তাহখানেক আগেই যাঁর কোমর আর পিঠে চোটের সমস্যা ছিল। তবে মঙ্গলবার অবশ্য ফিলিপ কোলস্রাইবারকে হারাতে সমস্যা হয়নি অস্ট্রেলীয় তারকার। তিনি জিতলেন ৬-৩, ৭-৬ (৪), ৬-৩। ২০১৫ এর চ্যাম্পিয়ন স্ট্যানিসলাস ওয়ারিঙ্কাও জিতলেন জোসেফ কোভালিকের বিরুদ্ধে ৬-২, ৭-৬ (৬), ৬-৩।