আশঙ্কা: বায়ার্ন ফুটবলারদের এই উৎসব নিয়ে শুরু বিতর্ক। গেটি ইমেজেস
ফুটবলের সঙ্গে আতঙ্কেরও প্রত্যাবর্তন ঘটল জার্মানিতে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার নিয়ম ভেঙে বিতর্কে জড়ালেন ফুটবলারেরা। গোলের পরে আনন্দে কেউ সতীর্থকে চুম্বন করলেন। কেউ আবার জড়িয়ে ধরলেন। এই পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন জার্মানির সরকার স্বাস্থ্যবিধি আরও কড়া করার ভাবনাচিন্তা শুরু করে দিয়েছে।
বিতর্কের সূত্রপাত শনিবার বুন্দেশলিগায় হফেনহেইম বনাম হের্থা বার্লিন ম্যাচে। হের্থা বার্লিনের মার্কো গ্রুইচ চুম্বন করেন সতীর্থ দেদ্রিক বোয়াতাকে। তবে এই ঘটনায় গোটা বিশ্বে আতঙ্কে ছড়িয়ে পড়লেও উদ্বিগ্ন নন দলের ম্যানেজার ব্রুনো লাবাদিয়া। তাঁর যুক্তি, ফুটবলারদের অনেক বার করোনা পরীক্ষা হয়েছে। এই উৎসবকে মেনে নেওয়া যেতেই পারে। কিন্তু বাভেরিয়া প্রদেশের মন্ত্রী মার্কাস সোয়েদের সংবাদ মাধ্যমে বলেছেন, ‘‘ফুটবলের মাধ্যমেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে হবে। ফলে কঠোর ভাবে সব নিয়ম আমাদের মেনে চলতে হবে।’’
দ্বিতীয় বিতর্ক ইউনিয়ন বার্লিন বনাম বায়ার্ন মিউনিখ ম্যাচে। রবিবার ম্যাচের ৪০ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে বায়ার্নকে এগিয়ে দেন রবার্ট লেয়নডস্কি। ৮০ মিনিটে বায়ার্নের হয়ে ২-০ করেন বাঁজামা পাভা। গোল করেই তিনি জড়িয়ে ধরেন সতীর্থ ডেভিড আলাবাকে। অথচ জার্মানির সরকার বুন্দেশলিগা শুরু করার অনুমতি দিয়েছিল এই শর্তে যে, করোনা সংক্রমণ রুখতে যাবতীয় ব্যবস্থা নিতে হবে সব দল ও বুন্দেশলিগা কর্তৃপক্ষকে। ন্যূনতম ঝুঁকিও নেওয়া যাবে না।ম্যাচ করতে হবে দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে। ফুটবলারেরা ম্যাচের আগে কেউ কারও সঙ্গে হাত মেলাবেন না। গোলের পরে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখেই উৎসব করবেন। শনিবার বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের ফুটবলারেরা যাবতীয় নিয়ম মেনে যে ভাবে উৎসব করেছিলেন, তাতে গোটা বিশ্ব মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এই দুই ঘটনায় ফের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ল।
আরও পড়ুন: বদলাচ্ছে নিয়ম, জুনের গোড়া থেকে ক্রিকেট শুরু হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ায়
আরও পড়ুন: ‘ধোনি আর আমি যখন একইসঙ্গে দলে থাকি, তখন জানি আমাকেই বসতে হবে’