অমিত পঙ্গাল।
বুলগেরিয়ার স্ত্রান্দজা মেমোরিয়াল বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপে টানা দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক সোনা জিতলেন অমিত পঙ্গাল। তবে মেয়েদের বিভাগে হেরে গেলেন ভারতের দুই তারকা বক্সার এম সি মেরি কম এবং সীমা পুনিয়া।
গত মাসে ইন্ডিয়ান ওপেনে সেরা বক্সারের সম্মান পাওয়া অমিত বুলগেরিয়ায় এই টুর্নামেন্টে ৪৯ কেজি বিভাগের ফাইনালে হারান মরক্কোর সইদ মোরাদজিকে। যদিও ২৩ বছর বয়সি হরিয়ানার বক্সার ফাইনালে একটা সময় চাপে পড়ে গিয়েছিলেন। মরক্কোর প্রতিপক্ষের উচ্চতা অমিতের চেয়ে বেশি হওয়ায় সুবিধা পাচ্ছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত যদিও নিখুঁত পাঞ্চ মারার দিক থেকে অমিত প্রতিপক্ষকে পিছিয়ে দেন।
মেয়েদের বিভাগে ভারতীয় সমর্থকরা অবশ্য হতাশ হলেন। ৪৮ কেজি বিভাগে মেরি কম এই টুর্নামেন্টে টানা তৃতীয় সোনা জেতার লক্ষ্যে নেমেছিলেন। এর আগে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ এবং ইন্ডিয়া ওপেনে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরে মেরির সোনা জেতার হ্যাটট্রিকের স্বপ্ন পূরণ হল না বুলগেরিয়ার সেদা আসেনোভার বিরুদ্ধে নেমে। একই ভাবে ৮১ কেজি বিভাগের ফাইনালে হারলেন সীমা পুনিয়াও। তাঁকে পরাস্ত করেন রাশিয়ার আনা ইভানোভা।
মেরি কম যে রকম ফর্মে ছিলেন তাতে আশা করা যায়নি ফাইনালে তিনি এ ভাবে হেরে যাবেন। তা ছাড়া বাউটে মেরিই দাপট দেখান প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। অলিম্পিক্স পদক জয়ী মেরিকেই গোটা বাউটে প্রতিপক্ষকে আক্রমণে বিধ্বস্ত করতে দেখা যায়। বেশির ভাগ সময়, মেরির আক্রমণ প্রতিহত করে যাচ্ছিলেন আসেনোভা। তাই বাউটের পরে বক্সিং জাজরা যখন আসানোভার পক্ষে রায় দেন অনেকেই অবাক হয়ে যায়। ভারতীর শিবিরকেও দেখে মনে হচ্ছিল এই ফল দেখে তারা বিস্মিত। অবশ্য সীমার ক্ষেত্রে তাঁর প্রতিপক্ষই দাপট দেখান। তাঁর চেয়ে অনেক দ্রুত গতিতে ঘুসি চালাচ্ছিলেন ইভানোভা। এতটাই দাপট ছিল রাশিয়ার বক্সারের যে সীমাকে নিয়মবহির্ভূত ভাবে আঘাত করার জন্য সতর্কও করা হয় তাঁকে। তাতেও ম্যাচের ফলাফলে কোনও প্রভাব পড়েনি।
ফলে টুর্নামেন্ট থেকে ভারতের মেয়ে বক্সাররা ফিরছেন দুটি রুপো এবং চারটি ব্রোঞ্জ পদক নিয়ে।