চর্চায়: সন ও রুইডিগারের (ডান দিকে) সংঘর্ষে ঝামেলার শুরু। রয়টার্স
টটেনহ্যাম হটস্পার স্টেডিয়ামে চেলসির বিরুদ্ধে ০-২ হারের পরেও বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না জোসে মোরিনহোর দলকে।
নেপথ্যে সেই বর্ণবিদ্বেষ সমস্যা। রবিবার ইপিএলের ম্যাচের প্রথমার্ধেই ব্রাজিলীয় ফুটবলার উইলিয়ানের জোড়া গোলে এগিয়ে গিয়েছিল চেলসি। দ্বিতীয়ার্ধে টটেনহ্যামের কোরীয় ফুটবলার সন হিউং-মিনের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় চেলসির ডিফেন্ডার আন্তোনিয়ো রুইডিগারের। এই ঘটনার পরেই রেফারি লাল কার্ড দেখান সন হিউং-মিনকে। তার কয়েক মিনিট পর থেকেই রুইডিগার বল ধরলেই গ্যালারি থেকে তাঁর উদ্দেশে ভেসে আসছিল বাঁদরের ডাক। এর পরেই রেফারি খেলা সাময়িক বন্ধ করেন। স্টেডিয়ামের পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেমে ঘোষণা করা হয়, ‘‘দর্শকদের বর্ণবিদ্বেষী আচরণ খেলায় বিঘ্ন ঘটাচ্ছে।’’ দুই ম্যানেজার ফ্রাঙ্ক ল্যাম্পার্ড ও জোসে মোরিনহোর সঙ্গে আলাদা করে কথাও বলেন রেফারি।
খেলা শেষ হওয়ার পরেই পেশাদার ফুটবলারদের সংস্থা ইংল্যান্ডে ক্ষমতাসীন সরকারের কাছে বর্ণবিদ্বেষ নিয়ে তদন্তের দাবি করেছে। চেলসি ম্যানেজার ল্যাম্পার্ডও এই ঘটনায় কড়া ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়েছেন। যাঁকে নিয়ে এত বিতর্ক সেই রুইডিগার টুইট করেন, ‘‘এটা লজ্জার যে ২০১৯ সালেও বর্ণবিদ্বেষ বিরাজ করছে। কবে এই ঘৃণ্য আচরণ বিদায় নেবে? নিশ্চয়ই এই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী রয়েছেন। আশা করি, কারা এই আচরণ করেছেন তাঁদের টিভি ক্যামেরায় চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে। যদি তা না সম্ভব হয়, নিশ্চয়ই প্রত্যক্ষদর্শী মিলবে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই ঘৃণ্য আচরণকারীদের খুঁজে বার করা হোক।’’
পেশাদার ফুটবলারদের সংগঠনও জানিয়েছে, ‘‘ফুটবলাররাই এই ঘৃণ্য দর্শকদের নিশানায়। মনে রাখবেন ওঁরা একা নয়। প্রত্যেকে এই আচরণের নিন্দা করছে। বিষয়টি চিরতরে নির্মূল করতে সরকারী তদন্ত চাই।’’