যশপ্রীত বুমরা। ফাইল চিত্র।
ক্রিকেট বিশ্বে জোরে বোলারদের মধ্যে অন্যতম চর্চিত নাম যশপ্রীত বুমরা। তাঁর অদ্ভুত অ্যাকশন ও নিখুঁত ডেলিভারি ঘুম কেড়েছে তাবড় ব্যাটসম্যানের। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন পেসার অ্যালান ডোনাল্ড জানিয়ে দিয়েছেন, সব ফর্ম্যাটে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে বিশ্বের একজনই। তিনি বুমরা। টেস্ট হোক কি টি-টোয়েন্টি, বুমরার মতো ধারাবাহিকতা কেউ দেখাতে পারেননি।
ক্রিকেট বিশ্বের বর্তমান জোরে বোলারদের বিষয়ে ইউটিউবে এক সাক্ষাৎকারে ডোনাল্ড বলেছেন, ‘‘নিউজ়িল্যান্ডের পেসাররা সত্যি বড় চমক দিয়েছে। ২০১১ থেকে দেখছি, ট্রেন্ট বোল্ট, টিম সাউদি, নিল ওয়াগনার দুরন্ত ছন্দে বল করে চলেছে। কাইল জেমিসনও শক্তি বাড়িয়েছে ওদের। দক্ষিণ আফ্রিকার অনরিখ নখিয়েও খারাপ নয়। অস্ট্রেলিয়ার পেসারদের বরাবরই ভাল জায়গায় রাখা যায়।’’ যোগ করেন, ‘‘ভারতীয় পেসারদের কথাও বলতে হচ্ছে। বিরাট কোহালির নেতৃত্বে বুমরা যে ভাবে উঠে এসেছে। তা সত্যি অনেকের কাছে বিস্ময়কর।’’
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আসার পর থেকে ২২টি টেস্টে ৯৫ উইকেট রয়েছে বুমরার। ৬৭টি ওয়ান ডে ম্যাচে ১০৮ উইকেট পেয়েছেন তিনি। ৫৯টি উইকেট পেয়েছেন ৪৯ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে। ডোনাল্ড তাই বলেছেন, ‘‘যে কোনও ফর্ম্যাটে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে বুমরা। এক ফর্ম্যাটে ভাল ফল করে অন্য ফর্ম্যাটে নিজেকে মানিয়ে নেওয়া সহজ নয়। বুমরা কিন্তু সেটা পেরেছে। তাই বলেই ক্রিকেটবিশ্বে ওকে এত সমীহ করা হয়।’’
প্রাক্তন ইংল্যান্ড পেসার স্টিভ হার্মিসন আবার প্রশংসা করেছেন মহম্মদ শামি ও ইশান্ত শর্মার। তিনি জানিয়েছেন, অভিজ্ঞ এই পেস বোলিং জুটি দু’দিকেই বল সুইং করাতে পারে। তাই ব্যাটসম্যানেরা কখনওই ক্রিজে থিতু হতে পারেন না। এমনকি হার্মিসন মনে করেন, তিনি ও ম্যাথু হোগার্ড যেমন একে অন্যকে সাহায্য করতেন, শামি ও বুমরাও তেমনই করেন।
এক ক্রিকেট ওয়েবসাইটকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হার্মিসন বলেছেন, ‘‘ইশান্তের ইনসুইংয়ের কোনও তুলনা হয় না। ওর সেলাইয়ের ব্যবহার এতটাই ভাল যে, ব্যাটসম্যান সব সময় চিন্তা করে বল কোন দিকে যাবে। ইশান্ত কখনও লেগকাটার করেও বিভ্রান্ত করে ব্যাটসম্যানকে। সেটা বোঝার ক্ষমতা অনেকের নেই।’’
শামিকে নিয়ে হার্মিসনের মন্তব্য, ‘‘ওকে দেখে মনে হয়, ও ইংল্যান্ডের বোলার। আমাদের দেশের অনেক বোলারের চেয়ে ওর মধ্যে ইংল্যান্ডের বোলারদের লড়াকু চরিত্র বেশি দেখতে পাওয়া যায়। শামির রান-আপ ভাল। কোমরের জোর প্রচুর। দু’দিকেই সুইং করাতে পারে। ওর শক্তি যদিও আউটসুইং।’’