ভরাডুবি: ব্যাটিং-ব্যর্থতা চিন্তায় রাখছে কোহালিকে। ফাইল চিত্র
ভারতের সামনে লক্ষ্য ছিল ১৯০ রান। কিন্তু ৪৯.৪ বল খেলেও বিরাট কোহালির ভারত সেই রান তুলতে পারেনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে চতুর্থ ওয়ান ডে-তে হারতে হয়েছে এগারো রানে। যার পরে ভারত অধিনায়ক কাঠগড়ায় তুলছেন তাঁর ব্যাটসম্যানদের। ‘‘আমাদের শট নির্বাচন একেবারেই ঠিক ছিল না,’’ বলেছেন বিরাট।
চতুর্থ ম্যাচে ভারত হেরে যাওয়ায় সিরিজ এখন ২-১ অবস্থায় দাঁড়িয়ে। সিরিজ জিততে গেলে কিংস্টনের ৬ তারিখের ম্যাচ হারা চলবে না ভারতের। তার আগে অপ্রত্যাশিত এই হার নিয়ে কোহালি বলেছেন, ‘‘গুরুত্বপূর্ণ সময় আমরা উইকেটগুলো হারালাম। আমাদের উচিত ছিল পুরো ইনিংস জুড়ে ছন্দ ধরে রাখা। যেটা হয়নি।’’ পাশাপাশি বিরাট কৃতিত্ব দিচ্ছেন ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান বোলারদেরও। বলেছেন, ‘‘ওরা প্রচুর ডট বল করতে পেরেছে। যে কারণে আমরা চাপে পড়ে গিয়েছিলাম।’’
আরও পড়ুন: ব্যাটসম্যানদের শট নির্বাচনকে একহাত নিলেন বিরাট
ঘটনা হল, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৮৯ রানে থেমে যাওয়ার পরে কেউ ভাবেনি ভারত এই ম্যাচ হারতে পারে। শুরুতে শিখর ধবন (৫), বিরাট কোহালি (৩) এবং যুবরাজের বদলি হিসেবে নামা দীনেশ কার্তিক (২) তাড়াতাড়ি ফিরে গেলেও অশনি সঙ্কেত তখনও দেখা যায়নি। কারণ তখন উইকেটে ধোনি। অজিঙ্ক রাহানে (৬০) এবং ধোনি মিলে পঞ্চাশ রানের ওপর যোগ করেন। ভারতের জয় তখন নিশ্চিত দেখাচ্ছিল। কিন্তু রাহানে আউট হওয়ার পর থেকেই চাপটা বেড়ে যায়। কেদার যাদব (১০) এবং হার্দিক পাণ্ড্য (২০) — দু’জনের কেউই প্রভাব ফেলতে পারেনি। ভারত ম্যাচ থেকে হারিয়ে যেতে শুরু করে ৪০ ওভারের পর থেকে। রান ওঠার গতিও ওই সময় কমে যায়। ধোনি থাকা সত্ত্বেও শেষ দু’ওভারে ১৬ রান ওঠেনি। ১১৪ বলে ৫৪, জীবনের মন্থরতম ইনিংস খেললেন ধোনি। মিডল ওভারেও সে রকম রান ওঠেনি। দেখা যাচ্ছে, ২১ থেকে ৪০ ওভারের মধ্যে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের স্ট্রাইক রেট কারও ভাল ছিল না। ধোনির সবচেয়ে কম ৩৬.৯২। ব্যাটিং কোচ সঞ্জয় বাঙ্গার বলেছেন, ‘‘পিচ স্লো হয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু আমাদের ব্যাটসম্যানদের মানিয়ে নেওয়া উচিত ছিল।’’