আদালতের রায়ের পরে অনেক রিল্যাক্সড এবং নিশ্চিন্ত সৌরভ। সোমবার সিএবি-তে নিজের ঘরে। ছবি: উৎপল সরকার
সোমবার সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর সিএবি-র সম্ভাব্য নির্বাচন নিয়ে যাবতীয় জল্পনা যেন থেমে গেল। বঙ্গ ক্রিকেট প্রশাসন থেকে যুদ্ধং দেহি ভাবটাই যেন উধাও হয়ে গেল। প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের অনুগামীদের মুখেও খুশির ছাপ।
ন’বছরের বেশি কেউ ক্রিকেট প্রশাসনে থাকতে পারবেন না— বিচারপতি লোঢা কমিশনের এই সুপারিশ আদালত মানার নির্দেশ দেওয়ায় কোষাধ্যক্ষ বিশ্বরূপ দে ও যুগ্মসচিব সুবীর গঙ্গোপাধ্যায়ের ফের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা নিয়েই প্রশ্ন দেখা দিল। পুলিশের চার্জশিটে থাকা কোনও ব্যক্তিও নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না। তাই সৌরভ পছন্দের কর্তাদের নিয়েই সিএবি-তে তাঁর টিম তৈরি করার দিকে এগোতে পারবেন।
যদিও তা নিজমুখে স্বীকার করতে চাইলেন না। সোমবার সন্ধ্যায় সৌরভ বললেন, ‘‘কোর্টের অর্ডার না পড়ে কোনও মন্তব্য করতে পারব না।’’ সর্বোচ্চ আদালতের রায় মেনে সংস্থার আইন বদলাতে হবে কি না, এই প্রশ্নেও একই উত্তর দেন তিনি। তবে সিএবি সূত্রের খবর, মঙ্গলবার শীর্ষকর্তারা কোর্ট অর্ডার নিয়ে বৈঠকে বসবেন। সেখানেই ঠিক হবে পরবর্তী পদক্ষেপ। অনেক সদস্যই মনে করেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে আইন বদল করে তার পর বার্ষিক সভা ডাকাই যুক্তিযুক্ত হবে। না হলে ছ’মাসের মধ্যে ফের বার্ষিক সভা ডাকতে হবে। যার কোনও মানে নেই।
বিশ্বরূপ দে— সুপ্রিম কোর্ট রায়ের পর তাঁর ভবিষ্যৎ কী? স্থানীয় ক্রিকেট মহল মনে করছে, সিএবি কোষাধ্যক্ষের প্রশাসনিক কেরিয়ার হয়তো এর পর শেষ হয়ে গেল। বিশ্বরূপ নিজে অবশ্য বললেন, ‘‘৩১ জুলাই যদি নির্বাচন হয়, আমি দাঁড়াচ্ছি। যদি চলে যেতেই হয়, প্রমাণ করে দিয়ে যাব যে নির্বাচনে আমাকে হারানো যেত না।’’