আশাবাদী: দল ছন্দে ফিরবেই, বিশ্বাস আলেসান্দ্রোর। ফাইল চিত্র
শতবর্ষে শত সমস্যায় জর্জরিত ইস্টবেঙ্গল!
এই মরসুমে আই লিগ খেতাবের অন্যতম দাবিদার মনে করা হচ্ছিল খাইমে সান্তোস কোলোদাদের। অথচ দু’টো ম্যাচ খেলা হয়ে গেলেও জয় অধরা লাল-হলুদ শিবিরে। ২ ম্যাচে ২ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবলের পঞ্চম স্থানে ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু সব কিছু ছাপিয়ে গিয়েছে অন্দরমহলের সমস্যায়। নেরোকা এফসির বিরুদ্ধে ম্যাচের চব্বিশ ঘণ্টা আগে কোচ আলেসান্দ্রো মেনেন্দেস গার্সিয়া প্রশ্ন তুললেন টিম ম্যানেজমেন্টের পেশাদারিত্ব নিয়ে।
যাত্রা বিভ্রাটে পঞ্জাব এফসি-র বিরুদ্ধে ম্যাচের দিন প্রায় ভোররাতে লুধিয়ানায় পৌঁছেছিলেন লাল-হলুদের ফুটবলারেরা। কোচ অবশ্য আগেই পৌঁছে গিয়েছিলেন। দিল্লি থেকে বাসে করে লুধিয়ানা রওনা হওয়ায় ম্যাচের আগে অনুশীলন তো দূরের কথা, পর্যাপ্ত বিশ্রামেরও সুযোগ পাননি তাঁরা। খুয়ান মেরা গঞ্জালেসের গোলে কোনও মতে হার বাঁচায় ইস্টবেঙ্গল। নেরোকা ম্যাচেও বিনা প্রস্তুতিতে নামছেন কোলাদোরা। রবিবার গুয়াহাটিতে কাটিয়ে সোমবার দুপুর দেড়টা নাগাদ মণিপুরের রাজধানী ইম্ফল পৌঁছেই হোটেলে ঢুকে পড়ে পুরো দল। চিকেন পক্সের জন্য গুয়াহাটি থেকেই কলকাতায় ফিরে এসেছেন ডিফেন্ডার মেহতাব সিংহ।
সোমবার ইম্ফলে সাংবাদিক বৈঠকে ক্ষুব্ধ আলেসান্দ্রো বলেন, ‘‘পেশাদার ফুটবলে সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সমস্ত কিছু সুষ্ঠু ভাবে আয়োজন করা। সকলের খেয়াল রাখা। যাতায়াত, খাওয়াদাওয়া থেকে হোটেলের ব্যবস্থা, সব কিছুতে পরিকল্পনা দরকার। তার প্রতিফলন চোখে পড়েনি।’’ যোগ করেন, ‘‘রবিবার প্রায় ১৫ ঘণ্টা আমাদের পথে কাটাতে হয়েছে। সোমবার ইম্ফলে পৌঁছেছি। এ ভাবে ভাল খেলা কঠিন। এই অব্যবস্থার জন্য পঞ্জাবের বিরুদ্ধে খেলার মান পঞ্চাশ শতাংশ খারাপ হয়েছিল।’’
অনুশীলন পণ্ড হওয়া নিয়ে খুব চিন্তিত নন ইস্টবেঙ্গল কোচ। উদ্বিগ্ন ফুটবলারদের ক্লান্তি নিয়ে। বলেছেন, ‘‘এক সপ্তাহে তিনটি ম্যাচ খেলতে হচ্ছে। প্রচুর ট্র্যাভেল করতে হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে অনুশীলনে ফুটবলারেরা আরও ক্লান্ত হবে।’’ তিনি আশাবাদী প্রতিকূলতা কাটিয়ে নেরোকা ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়াবে ইস্টবেঙ্গল। বললেন, ‘‘গত বারের চেয়ে এ বার দল আরও অনেক বেশি শক্তিশালী। তবে কিছু সমস্যা রয়েছে। সেগুলো শুধরে নিলে আগের বারের চেয়ে ভাল কিছু করব। খেতাবি লড়াইয়েও থাকব।’’
মঙ্গলবার আই লিগে: নেরোকা বনাম ইস্টবেঙ্গল (২.০০, ডি স্পোর্টস)।