গুরু ও শিষ্য। মেনেন্দেজের হাত ধরে উত্থান আসপাসের। ছবি —সোশ্যাল মিডিয়া।
প্রথম বছরে তারকাহীন, বড় নামহীন ইস্টবেঙ্গলকে প্রায় আই লিগ চ্যাম্পিয়ন করে দিয়েছিলেন তিনি। অখ্যাত, অনামী জবি জাস্টিনকে করে দিয়েছিলেন তারকা।
সমর্থকদের কাছে তিনি হয়ে গিয়েছিলেন ‘আলে স্যর’। পরের বছর আচম্বিতে দায়িত্ব ছেড়ে দিয়ে সেই তিনিই লাল-হলুদ সমর্থকদের চোখে জল এনেছিলেন। শনিবার রাতে সেই আলেয়ান্দ্রো মেনেন্দেজের শিষ্য লিওনেল মেসিদের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিলেন গোল করে।
একেবারে শেষ মুহূর্তে গোল করে নাটকীয় ভাবে ম্যাচের রং বদলে দেন সেল্টা ভিগোর আসপাস। তিনি গোল করার আগে বার্সা ২-১ গোলে এগিয়েছিল। মেনেন্দেজের শিষ্য সেল্টা ভিগোর হয়ে সমতা ফেরান ৮৮ মিনিটে। ম্যাচ ২-২ ড্র হওয়ায় ৩২ ম্যাচে বার্সার পয়েন্ট ৬৯। লিগ টেবলের শীর্ষে মেসিরা থাকলেও বার্সা সমর্থকরা মোটেও স্বস্তিতে নেই। এক ম্যাচ কম খেলে রিয়াল মাদ্রিদের পয়েন্ট ৬৮। বার্সেলোনার থেকে ব্যবধান এখন মাত্র এক পয়েন্টের।
আরও পড়ুন: তেল দিয়ে ক্রিকেট খেলি না, অরুণ লাল-রণদেবকে নিয়ে বিস্ফোরক ডিন্ডা
৮৮ মিনিটে আসপাসের ফ্রি কিক বার্সার জালে জড়িয়ে যাওয়ায় হতবাক হয়ে যান মেসিরা। গোলরক্ষক স্তেগান নড়ার সুযোগ পাননি। এই আসপাসকে চিনতে ভুল করেননি মেনেন্দেজ। তাঁর হাত ধরেই উত্থান আসপাসের। ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তন কোচ এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘‘এই মুহূর্তে স্প্যানিশ ফুটবলে আসপাস সেরা স্ট্রাইকার। ও শুধু নিজে গোল করার জন্য খেলে না। হৃদয় দিয়ে ফুটবল খেলে।’’
২০০৯ সালে অবনমনের অবস্থা হয় সেল্টা ভিগো বি টিমের। ডিপোর্টিভো আলাভেজের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের দিন কয়েক আগে সেল্টা ভিগোর দায়িত্ব নেন মেনেন্দেজ। সেই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে পরির্বত হিসেবে আসপাসকে নামান তিনি। সেল্টা ভিগো ২-১ গোলে ম্যাচটা জিতেছিল। জোড়া গোল করেছিলেন আসপাস। দল অবনমনের হাত থেকে বেঁচে গিয়েছিল। মেনেন্দেজ তাঁর সম্পর্কে বলেছিলেন, ‘‘আমি ওকে আবিষ্কার করিনি। আসপাসকে যখন প্রথম দেখি তখন ও নিজেই জানত না ওর ক্ষমতা।’’
সেই আসপাস এ বার মেসিদের থামিয়ে দিলেন। মেনেন্দেজ যে তাঁকে চিনতে ভুল করেননি, সেই প্রমাণ দিচ্ছেন আসপাস।