ডার্বি হেরে চাকরি ছাড়লেন মেনেন্ডেজ।
ডার্বি ম্যাচের আগে থেকেই চাপ বাড়ছিল আলেয়ান্দ্রো মেনেন্দেজের উপরে। তাঁর সিদ্ধান্তে খুশি ছিলেন না ক্লাবকর্তারা। রবিবাসরীয় ডার্বিতে মোহনবাগান ম্যাচ ছিল তাঁর কাছে লাইফলাইন। সবুজ-মেরুনকে হারাতে পারলে চাপমুক্ত হতে পারতেন সমর্থকদের বড় প্রিয় ‘আলে স্যর’। রবিবাসরীয় ডার্বিতে মোহনবাগান মাটি ধরায় ইস্টবেঙ্গলকে। দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যায় মেনেন্দেজের। মঙ্গলবার ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে চাকরি ছাড়লেন তিনি।
মেনেন্দেজ সরে যাওয়ায় মাঝ মরসুমে বড় ধাক্কা খেল ইস্টবেঙ্গল। আই লিগে এখনও ১৩টি ম্যাচ বাকি রয়েছে হাইমে কোলাডোদের। লিগ দৌড়ে অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে ইস্টবেঙ্গল। এই মুহূর্তে নতুন হেড কোচ নিয়ে আসাও কঠিন। ক্লাবের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, নতুন হেড কোচ না আসা পর্যন্ত সহকারী কোচরাই কোচিং করবেন।
চলতি মরসুমে প্রিয় ক্লাবের দল নির্বাচন সন্তুষ্ট করতে পারেনি সমর্থকদের। স্ট্রাইকার মার্কোস এসপাড়া প্রতিটি ম্যাচে ব্যর্থ হয়েছেন। ক্লাব কর্তারা দল পরিবর্তন করার কথা বার বার বললেও মেনেন্দেজ তাঁদের কথা শোনেননি। মার্কোসের উপরেই আস্থা রেখে গিয়েছেন। ছেলের অসুস্থতার জন্য বোরহা গোমেজ ফিরে গিয়েছেন স্পেনে। ডিফেন্সে প্লেয়ার দরকার লাল-হলুদের। সেই জায়গায় বড় ম্যাচের আগে তিনি আনেন সহকারী কোচ। ডার্বিতে হারের পরেও দম্ভ করে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ইস্টবেঙ্গল ক্লাবকে দারুণ এক উচ্চতায় তিনি নিয়ে গিয়েছেন। ক্লাবকর্তারা তাঁর এমন মন্তব্য ভাল ভাবে নেননি। দেওয়াললিখন পড়ে ফেলেছিলেন তিনি। তাই মঙ্গলবারই জানিয়ে দিলেন, ব্যক্তিগত কারণে তিনি সরে দাঁড়াচ্ছেন।