ওয়াড়েকরকে সচিনের উপহার: বেলি ডান্সার

সচিন তেন্ডুলকর এবং বেলি ডান্সার! না, না, কিংবদন্তির বিয়াল্লিশতম জন্মদিনের পার্টির হালহকিকত নয়। তবে হ্যাঁ, একটা জন্মদিনের পার্টি বটেই। যেখানে মাঝ রাতে আধ ডজন বেলি ডান্সার জড়ো করে আসর জমিয়ে দিয়েছিলেন ‘ফাজিল’ সচিন। মাস্টার ব্লাস্টারের বিয়াল্লিশতম জন্মদিন উপলক্ষে গতকাল ‘লেজেন্ডস সামিট’-এ সেই কাহিনী বাকিদের শোনালেন ওই পার্টির বার্থ ডে বয়, অজিত ওয়াড়েকর।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মুম্বই শেষ আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০১৫ ০৩:১৫
Share:

সচিন তেন্ডুলকর এবং বেলি ডান্সার!

Advertisement

না, না, কিংবদন্তির বিয়াল্লিশতম জন্মদিনের পার্টির হালহকিকত নয়। তবে হ্যাঁ, একটা জন্মদিনের পার্টি বটেই। যেখানে মাঝ রাতে আধ ডজন বেলি ডান্সার জড়ো করে আসর জমিয়ে দিয়েছিলেন ‘ফাজিল’ সচিন। মাস্টার ব্লাস্টারের বিয়াল্লিশতম জন্মদিন উপলক্ষে গতকাল ‘লেজেন্ডস সামিট’-এ সেই কাহিনী বাকিদের শোনালেন ওই পার্টির বার্থ ডে বয়, অজিত ওয়াড়েকর।

ঘটনাটা ১৯৯৪-এর। নিউজিল্যান্ড সফরে ভারতের ম্যানেজার ছিলেন ওয়াড়েকর। তাঁর কথায়, ‘‘পয়লা এপ্রিল আমার জন্মদিন। সে দিন আবার বাকিদের বোকা বানাতে আমার দারুণ লাগে। তাই আগের রাতে তাড়াতাড়িই শুয়ে পড়েছিলাম। রাত বারোটা নাগাত দরজায় সচিনের টোকা। কী ব্যাপারে জিজ্ঞেস করতে বলল, কপিল পাজির কিছু হয়েছে, আপনি চলুন। রাতের পোশাকেই হন্তদন্ত হয়ে দুই তলা পেরিয়ে কপিলের ঘরে ঢুকে দেখি গোটা টিম কেক আর শ্যাম্পেনের বোতল নিয়ে দাঁড়িয়ে।’’ অবাক ওয়াড়েকর কিছু বুঝে ওঠার আগেই পাশের ঘরের দরজা খুলে একের পর এক ঢুকে এসে নাচতে শুরু করেন বেলি ডান্সাররা। সংখ্যায় পুরো আধ ডজন!

Advertisement

ওয়াড়েকর বলেন, ‘‘সাধারণত এমন ফাজলামি সানি (সুনীল গাওস্কর) করে। কিন্তু সে বার ও ধারাভাষ্যকার থাকলেও ওই ঘরে হাজির ছিল না। তখনই বুঝি ওটা সচিনের দুষ্টুমি!’’ তা বেলি ডান্সিং-এ নিমজ্জিত হয়ে দু’গ্লাস শ্যাম্পেন শেষ করেছেন, এমন সময় ওয়াড়েকর দেখেন বাদবাকি টিম গুটিগুটি কেটে পড়ছে। এবং আচমকাই একজন বেলি ডান্সারের সঙ্গে তিনি ঘরে একা।

ওয়াড়েকর গল্পটা এতটা বলার মধ্যেই হেসে গড়াগড়ি লেজেন্ডস সামিট। সবাই জানতে চান, তার পর কী হল?

ওয়াড়েকরের সাফ জবাব, ‘‘আমি ম্যানেজার। কোড অব কন্ডাক্ট তো মানতেই হবে। অগত্যা নিজের ঘরে ফিরে গেলাম!’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement