শতরানের পর রাহানে। ছবি: এএফপি।
ব্যাটিং অর্ডারে আজিঙ্ক রাহানের পজিশন বার বার বদল করায় সমালোচনায় মুখর হয়েছিলেন স্বয়ং সুনীল গাওস্কর। প্রথম ইনিংসে ব্যর্থও হয়েছিলেন রাহানে। কিন্তু, প্রয়োজনের সময় দ্বিতীয় ইনিংসে জ্বলে উঠে ফের নিজের নির্ভরযোগ্যতা প্রমাণ করলেন রাহানে। মূলত তাঁর শতরান আর মুরলী বিজরের ৮২-র উপর ভর করেই রবিবার পি সারা ওভালে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ভারতের লিড হয়েছে ৪১২ রান। চতুর্থ দিনের শেষে ২ উইকেট হারিয়ে বেশ বেকায়দায় শ্রীলঙ্কা। হাতে ৮ উইকেটের রসদ নিয়ে শেষ দিনে জয়ের জন্য প্রয়োজন আরও ৩৪১ রান।
এ দিন অবশ্য শতরান হারালেও নজরকাড়া ব্যাটিং করলেন বিজয়। প্রথম ইনিংসে ‘ডাক’ করেছিলেন। অন্য দিকে ছিল সঙ্গী ওপেনার কে এল রাহুলের শতরান। শিখর ধবনের চোট নিয়ে মাঠের বাইরে থাকলেও প্রথম টেস্টে শতরানকারী। ফলে নিজের জন্যই বড়সড় রান পাওয়াটা জরুরি ছিল। ফলে এ দিনের বিজয়ের ৮২ রান অবশ্যই তাঁর দামি সংগ্রহ। রাহানে-বিজয় ছাড়া ভারতের হয়ে উল্লেখযোগ্য রান পাননি কোনও ব্যাটসম্যানই। ৮ উইকেটে ৩২৫ রান ওঠার পর শেষ সেশনের ঘণ্টাখানেক আগেই ইনিংস ডিক্লেয়ার করেন অধিনায়ক বিরাট কোহলি।
ব্যাট করতে নেমে মাত্র ২.৪ ওভারে প্রথম উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। তিন নম্বরে বেশি ক্ষণ স্থায়ী হয়নি সঙ্গকারা শেষ টেস্ট ইনিংসও। জীবনের শেষ ইনিংসে সঙ্গার অবদান মাত্র ১৮। ইতিমধ্যেই জয়ের গন্ধ পেতে শুরু করেছে ভারত। তবে ভারতের আজকের প্রদর্শনের মধ্যেও বড় খবর হয়ে উঠেছে ঋদ্ধিমান সাহার চোট। সেকেন্ড সেশনে ব্যাট করার সময়ই হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন ঋদ্ধি। সপ্তম উইকেট পড়ার পর মাঠে ফিরলেও দিনের শেষে উইকেটের পিছনে দাঁড়িয়েছেন লোকেশ রাহুল।
পঞ্চম দিনে দু’টি ঘটনাই ঘটতে পারে। হয় ভারতের জয়, নতুবা ড্র। এখন দেখার কোহলিরা সিরিজে সমতা ফেরাতে পারেন কি না!