মগ্ন: বেঙ্গালুরুতে অনুশীলনের ফাঁকে অধিনায়ক অজিঙ্ক রাহানে। ছবি: পিটিআই
আফগানিস্তানের ক্রিকেটাররা সীমিত ওভারের ক্রিকেটে খেললেও ওঁদের টেস্ট খেলা হয়নি। তাই বৃহস্পতিবার থেকে যখন বেঙ্গালুরুতে ভারতের বিরুদ্ধে রশিদ খান-রা ক্রিকেটের আসল পরীক্ষায় নামবেন, তখন বুঝতে পারবেন, কেন টেস্ট না খেললে ক্রিকেটাররা পরিণত হয়ে উঠতে পারেন না।
আফগানিস্তানের ক্রিকেটে অনেক প্রতিভা আছে। রশিদ খানকে নিয়ে তো এখন প্রচুর চর্চা চলছেই। তবে একা রশিদ নন, আমার ধারণা, ওঁর সতীর্থরাও নিজেদের প্রতিভার স্ফুরণ দেখানোর উদ্দেশ্য নিয়েই এই টেস্টে নামবেন। আফগানিস্তানের ক্রিকেটে একটা ঐতিহাসিক মুহূর্ত আসতে চলেছে। তবে ওদের আরও বেশি খুশি হওয়া উচিত ভারতের মতো অন্যতম সেরা দলের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্ট খেলার সুযোগ পাওয়ায়। সেরা দলের বিরুদ্ধে খেলেই তো নিজেদের ভাল ভাবে পরখ করে নেওয়া যায়। এই টেস্ট খেলেই রশিদরা বুঝতে পারবেন, টেস্টের মানের নিরিখে ওঁরা ঠিক কোন জায়গায় আছেন।
বিরাট কোহালিকে ছাড়া এই টেস্টে নামলেও ভারত বেশ শক্তিশালী। এ রকম একটা দলের বিরুদ্ধে নামাকে বড় সুযোগ মনে করা উচিত আফগানদের। আমি যদি ওঁদের ক্রিকেটার হতাম, তা হলে সে রকমই ভাবতাম। এ রকম বড় মঞ্চে যে নিজেদের প্রমাণ করতে হবে, আফগান ক্রিকেটারদের তা বুঝতে হবে। নিঃসন্দেহে ভারতই এই টেস্টে এগিয়ে রয়েছে। কিন্তু আফগানরা নিশ্চয়ই চাইবেন যে, বেঙ্গালুরুর উইকেটে বল ঘুরুক। কারণ, ওদের দলের আসল শক্তি যে স্পিন। নিখুঁত স্পিনই ওদের বড় অস্ত্র।
ভারতকে নেতৃত্ব দেবেন অজিঙ্ক রাহানে। ধর্মশালায় যিনি অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্টে অধিনায়কের ভূমিকা পালন করে ম্যাচ জিতিয়েছিলেন। ইংল্যান্ড সফরে ওয়ান ডে দলে না থাকাটা রাহানের পক্ষে দুর্ভাগ্যজনক। দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম দুই টেস্টে দলের বাইরে থাকার পরে রাহানে তৃতীয় টেস্টে ফিরে আসেন ও দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। সেই ম্যাচের পরের টেস্ট এটাই আর রাহানে এখানে ভারতের অধিনায়ক। ওঁর মনে প্রশ্ন আসতেই পারে, ‘ক্রিকেটার হিসেবে তা হলে আমি কোন জায়গায় আছি?’ তবে আমার মনে হয়, এ সব না ভেবে ওঁর এখন রান করার দিকে মন দেওয়া উচিত। তা হলেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। টেস্ট ক্রিকেটের জন্য রাহানে আদর্শ ক্রিকেটার। ওঁকে মনে রাখতে হবে, সব খেলোয়াড়ের জীবনেই দুঃসময় আসে। এটা খুব সামান্য সমস্যা। বেশি জটিল না করে মাঠে সাহসী সিদ্ধান্ত নিতে হবে, রান করতে হবে— এটাই লক্ষ্য হওয়া উচিত।