শনিবার নয়াদিল্লিতে আলোচনায় বসেছিল এআইএফএফ-এর টেকনিক্যাল কমিটি। ছবি: এআইএফএফ।
ভারতীয় ফুটবলের রোডম্যাপ তৈরির প্রথম ধাপে পা রেখেই ফেলেছে সর্ব ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন। সেটা অবশ্যই অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ আয়োজন করা। এই মুহূর্তে সব ফোকাস আটকে রয়েছে সেখানেই। কিন্তু তার মধ্যেই দিল্লির এক পাঁচতারা হোটেলে শনিবার আলোচনায় বসেছিল এআইএফএফ-এর টেকনিক্যাল কমিটি। প্রাক্তন ফুটবলার শ্যাম থাপার নেতৃত্বে এই আলোচনা থেকে বেরিয়ে এল বেশ কিছু ভবিষ্যত পরিকল্পনা। তার সঙ্গে যুক্ত হল ভারতীয় ফুটবলে ইতিহাস তৈরি করে বিশ্বকাপের মঞ্চে লড়াই করা একঝাঁক অনূর্ধ্ব-১৭ ফুটবলারদের শুভেচ্ছা। শ্যাম থাপা প্রথমেই শুভেচ্ছা জানাতে ভুললেন না ভারতের যুব বিশ্বকাপে নামা দলকে। ইউএসএ-এর বিরুদ্ধে ভারতের পারফরম্যান্সের প্রশংসা না করে পারলেন না তিনি। শ্যাম থাপা বলেন, ‘‘এই প্রথম বিশ্বকাপের মঞ্চে পা দিয়েও ভারতীয় দল যে খেলাটা খেলেছে সেটাকে সাধুবাদ জানাতেই হচ্ছে। এখান থেকেই উত্থানের পথ তৈরি করতে হবে।।’’
আরও পড়ুন: প্রথম ম্যাচ থেকে শিক্ষা নিয়ে ত্রুটি শোধরাতে নেমে পড়লেন মাতোস
এর পরই আলোচনায় উঠে আসে অনূর্ধ্ব-১৯ এএফসি কাপ ফাইনাল। এ দিন টেকনিক্যাল কমিটির মূল আলোচ্য বিষয়ই ছিল এই টুর্নামেন্টের রোড ম্যাপ তৈরি করা। এই টুর্নামেন্টের যোগ্যতা নির্ণায়ক পর্ব আগামী মাসেই শুরু হয়ে যাবে। যাতে ভারতীয় দল ফাইনালের যোগ্যতা অর্জন করতে পারে সেই ভাবনায় এখন ফেডারেশন। এই টুর্নামেন্টে ভারতের গ্রুপে রয়েছে আয়োজক দেশ সৌদি আরব, তুর্কমেনিস্তান ও ইয়েমেন। এক কথায় খুব সহজ হবে না। তার উপর হোস্ট দেশের সঙ্গেও খেলতে হবে। এমন অবস্থায় কোনও ফাক রাখতে চায় না ফেডারেশন। এর মধ্যেই বেছে নেওয়া হবে কোচও। যা খবর তাতে মাতোসকেই রেখে দেওয়া পথে এগোতে চাইছে ফেডারেশন।
আরও পড়ুন: ‘নামী বাবার ছেলে হওয়ার চাপ নিতে হয় না আমাকে’
এর সঙ্গে টেকনিক্যাল কমিটির তরফে শুভেচ্ছা জানানো হয় অনূর্ধ্ব-১৬ ফুটবল দলকে। যারা এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬র ফাইনাল পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে নিয়েছে। শ্যাম থাপা বলেন, ‘‘অনূর্ধ্ব-১৭র পরের বিশ্বকাপে যাতে পৌঁছতে ভারতের এই দল তার জন্য যা প্রয়োজন দেওয়া হবে। সেরা প্রস্তুতির ব্যবস্থা করা হবে। ২০১৯এ হবে সেই বিশ্বকাপ। তার আগে আমাদের আরও অনেকবেশি প্রতিযোগিতামূলক টুর্নামেন্ট খেলতে হবে।’’ এ দিনের মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশনের সচিব কুশল দাসসহ টেকনিক্যাল কমিটির বাকি সদস্যরা।