বল-বিকৃতির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আহমেদ শেহজাদ। ফাইল ছবি।
পাক ক্রিকেটে ফের বল বিকৃতির অভিযোগ। ঘরোয়া ক্রিকেটে বল-বিকৃতির দায়ে জরিমানা হল পাকিস্তানের ওপেনার আহমেদ শেহজাদের। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এক মিডিয়া রিলিজে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড জানিয়েছে যে, ম্যাচ ফির অর্ধেক কেটে নেওয়া হয়েছে শেহজাদের। মঙ্গলবার কায়েদ-ই-আজম ট্রফিতে সেন্ট্রাল পঞ্জাব বনাম সিন্ধ ম্যাচে বল বিকৃতির এই ঘটনা ঘটে। শেহজাদ বলের চেহারা বদলানোর চেষ্টা করছিলেন বলে জানানো হয়েছে প্রেস বিবৃতিতে।
সিন্ধের প্রথম ইনিংসের ১৭ ওভারের ঘটনা এটা। আম্পায়াররা রুটিন বল পরীক্ষা করতে গিয়ে দেখেন যে, তার চেহারা পুরো বদলে গিয়েছে। আর তা অন্যায় ভাবে করেছেন ফিল্ডিং দলের এক সদস্য। ম্যাচ রেফারিকে জানানো হয় তা। প্রাথমিক রিভিউয়ের পর ম্যাচ রেফারি ঠিক করেন, এই ব্যাপারে উত্তর দিতে হবে অধিনায়ক শেহজাদকেই। কারণ, কোন ক্রিকেটার বল-বিকৃতি করেছেন, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। পিসিবি-র কোড অফ কন্ডাক্ট বা আচরণবিধি অনুসারে শেহজাদকে অভিযুক্ত করা হয়।
আরও পড়ুন: কোহালিকে টপকাতে দরকার আট রান, রেকর্ডের সামনে হিটম্যান
আরও পড়ুন: অভিষেক হচ্ছে মারকুটে অলরাউন্ডারের? দেখে নিন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতের সম্ভাব্য একাদশ
অভিযোগ অস্বীকার করেন পাকিস্তানের জাতীয় দলের ক্রিকেটার। বলেন, তিনি দোষী নন। ম্যাচের পর শুনানি হয়। আর সেখানে পাকিস্তানের এই ব্যাটসম্যানকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। সরকারি বিবৃতিতে শেহজাদ অবশ্য বলেন, “আমার মনে হয়েছে কৃত্রিম ভাবে বলকে বদলানো হয়নি। বরং রুক্ষ মাঠের জন্য নিজে থেকেই পাল্টে গিয়েছে বলের আকার। আমি ম্যাচ অফিসিয়ালদের এটা বোঝানোর চেষ্টা করেছি। কিন্তু তাঁরা অনড় ছিলেন। আমি তাই জরিমানার সিদ্ধাম্ত মেনে নিয়েছি।” তিনি আরও বলেন, “এই ধরনের কোনও কিছুতে জড়ানোর কথা ভাবতেই পারি না। আমার কোনও সতীর্থকেও ক্রিকেটের ভাবমূর্তির ক্ষতি হয়, এমন কাজ করতে দেব না। লড়াকু মন নিয়ে খেলে যাওয়াই আমার অগ্রাধিকার। একইসঙ্গে আমাদের খেলা যাঁরা দেখেন, সেই তরুণদের অনুপ্রাণিত করতে চাই।”
শেহজাদ এখনও পর্যন্ত পাকিস্তানের হয়ে ১৩ টেস্ট, ৮১ ওয়ানডে ও ৫৯ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন দেশের হয়ে। গত বছরের জুলাইয়ে তাঁকে চার মাসের জন্য নির্বাসিত করেছিল পিসিবি। সেই সময় পিসিবি-র ডোপিং বিরোধী নীতি লঙ্ঘন করেছিলেন তিনি।