আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফের প্রত্যাবর্তনে চমকে দিয়েছেন ২৪ ঘণ্টাও হয়নি। তিন উইকেট তুলে নিয়ে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ভারতকে পাঁচ রানে জয়ের পিছনে তিনিই অন্যতম নায়ক। তিনি— আশিস নেহরা সিরিজে দলকে সমতায় ফিরিয়ে বলছেন, বয়স একটা সংখ্যা মাত্র, তাঁর ছন্দে ফিরতে একটা প্র্যাকটিসই ম্যাচই যথেষ্ট।
‘‘৫০ ওভার হোক বা টি-টোয়েন্টির চ্যালেঞ্জ। আমি ম্যাচে নামার আগে নেটে একটা স্টাম্প রেখে প্র্যাকটিস করি। কখনও আমি ম্যাচ প্র্যাকটিসের অভাব বোধ করিনি। একটা ম্যাচেই আমি ছন্দে চলে আসি।’’
গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলার পর আইপিএলে নেমেছিলেন নেহরা। এর পর ক্রিকেট থেকে কিছুদিন বিরতি নিতে হয় হাঁটুতে অস্ত্রোপচারের জন্য। ‘‘সামনের মাসগুলোয় আমি ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলব। ৫০ ওভার টি-টোয়েন্টি, তার পর দু’মাস আইপিএলও রয়েছে। আমার মনে হয় বোলার হোক বা ব্যাটসম্যান দীর্ঘদিন খেলে যাওয়ার জন্য ম্যাচ প্র্যাকটিস ভীষণ জরুরি।’’ সঙ্গে নেহরা যোগ করেন, ‘‘আমি বা এমএস ধোনি যারা টেস্ট ক্রিকেট খেলি না, তাদের ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলতে হবে।’’
বয়সের প্রসঙ্গ উঠতেই নেহরার বিষাক্ত বাউন্সার ধেয়ে এল, ‘‘দুর্ভাগ্য যে এ দেশে পারফর্ম করে যেতে থাকলে প্রচুর প্রশংসা পাওয়া যায়, কিন্তু টিম দুটো ম্যাচ হারলেই দলের বাকি ১৫ জনকে কিছু বলা হয় না। বলা হয় আশিস নেহরাকে বাদ দেওয়া উচিত। এ সব কথায় অবশ্য আমার এখন আর কিছু যায় আসে না। আমার কাছে বয়স শুধু একটা সংখ্যা।’’
নেহরা নিজের ফিটনেস নিয়েও কথা বলেন। ‘‘জানি পেস বোলার হিসেবে ফিটনেস ধরে রাখাটা সোজা নয়। তা ছা়ড়া আমায় ইনিংসের শুরু আর শেষে বল করতে হয়। যেটা সোজা নয়। এখনও পর্যন্ত আমি নিজের খেলাটা উপভোগ করছি। আর আমার শরীরও ফিট। আমি চেষ্টা করি ফিটনেস ধরে রাখার। ৭-৮ মাস পর ম্যাচে নামলেও আমার ম্যাচ প্র্যাকটিসের অভাব মনে হয়নি। ঘন ঘন ম্যাচ খেলতে হলে যত সময় যায় তত আরও নিজের পারফরম্যান্স ধারালো হয়ে ওঠে।”