সুপার টেনের প্রথম ম্যাচই টুর্নামেন্টের মেজাজটা যেন ঠিক করে দিল। সমস্ত দল একটা সতর্ক বার্তাও পেল যে, যে কোনও দল এই লড়াইয়ে জিততে পারে। যেখানে এতগুলো বিপজ্জনক দল রয়েছে সেখানে ভাল দলের তকমা বা ফর্মের দাপট এই যুদ্ধে বাঁচাতে পারবে না।
যে ভাবে নিউজিল্যান্ড মোকাবিলা করল ভারতের, ওদের জন্য কোনও প্রশংসাই যথেষ্ট নয়। দল নির্বাচনে খুব সাহস দেখিয়েছে ওরা। তার উপর স্পিন ফোকাসে রেখে পরিকল্পনাটা দারুণ ভাবে কাজেও লাগিয়েছে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বড় ম্যাচে নামার আগে ভারতকে কিন্তু চাপে ফেলে দিয়েছে নিউজিল্যান্ড।
শনিবারের ম্যাচটা দেখার জন্য আর তর সইছে না। আমার মনে হয় ম্যাচটায় হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। আইসিসি ইভেন্টে সাম্প্রতিক কালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের রেকর্ড ভাল। তার উপর ভারত হোম অ্যাডভান্টেজ নিয়ে নামবে। তবে বাংলাদেশকে হারানোর পর পাকিস্তানকে কিন্তু খুব বিপজ্জনক দেখাচ্ছে।
পাকিস্তান এখন দারুণ একটা অল রাউন্ড টিম। শর্জিল খান আর আহমেদ শেহজাদের ওপেনিং জুটিকে এখন আরও জমাট দেখাচ্ছে। সঙ্গে মহম্মদ হাফিজও তিন নম্বরে দায়িত্ব মন্দ সামলাচ্ছে না। তার উপর চির তরুণ শাহিদ আফ্রিদিকে ওর ১৯ বলে ৪৯ রানের ইনিংস আর সঙ্গে দুর্দান্ত বোলিংয়ে ফের বিপজ্জনক লাগছে। আফ্রিদি থাকাতেই কিন্তু পাকিস্তান বোলিংকে আরও ব্যালান্সড দেখাচ্ছে। ওদের বোলিং আক্রমণে ভাল স্পিনার যে রকম রয়েছে তেমন রয়েছে বিপজ্জনক পেসারও।
ভারতীয় বোলিং আক্রমণে অতটা ভারসাম্য না দেখালেও ওরাও কম যায় না। ওদের বোলিং আক্রমণে আশিস নেহরা আর রবিচন্দ্রন অশ্বিনের ওপেনিং কম্বিনেশন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। প্রথম ছয় ওভারে ওরা কয়েকটা উইকেট তুলে নিতে পারলে, যেটা ওরা প্রায়ই করে দেখাচ্ছে, ভারত গোড়াতেই অনেকটা এগিয়ে যায়। পাকিস্তান যদি গোড়াতে উইকেট না হারায় মাঝের ওভারে ওদের জন্যই সুবিধে।
তবে ভারতের আসল জোরের জায়গাটা নিশ্চিত ভাবেই ব্যাটিং। টুর্নামেন্টের অন্যতম সেরা ব্যাটিং লাইন আপ। অবশ্য নিউজিল্যান্ডের অনভিজ্ঞ স্পিনারদের বিরুদ্ধে যে ভাবে নাজেহাল হতে হল ভারতীয় ব্যাটম্যানদের, তাতে ওরা নিশ্চয়ই হতাশ। তবে আমার আশা ওদের যা ক্ষমতা তাতে খুব দ্রুত ওরা দারুণ ভাবে উঠে দাঁড়াবে।