মোহনবাগানের জোড়া গোলদাতা জেজে লাপেখলুয়া। -ফাইল চিত্র।
মোহনবাগান ৪ (জেজে-২, হুসেন নিহান-সেম সাইড, সনি নর্ডি)
ভ্যালেন্সিয়া ১ (ওমোডু)
এএফসি কাপে জয়ের ধারা ধরে রাখল মোহনবাগান। ম্যাচ শুরুর প্রথম মিনিটেই পেনাল্টি পেয়ে গিয়েছিল মোহনবাগান। প্রবীর দাসের কর্নার বক্সের মধ্যে হাতে লাগিয়ে মোহনবাগানকে পেনাল্টি পাইয়ে দিয়েছিলেন উসাম। পেনাল্টি থেকে গোল করতে ভুল করেননি জেজে লালপেখলুয়া। এখান থেকেই শুরু। পুরো ম্যাচে হোম টিমের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি প্রতিপক্ষ ভ্যালেন্সিয়া। মাঝে একবার ব্যবধান কমাতে সক্ষম হলেও জয়ের হাতছানি দিতে পারেনি অ্যাওয়ে টিম। বরং শেষ থেকে শুরু ম্যাচের দখল পুরোপুরিই ছিল বাগানেরই হাতে।
আরও খবর: জয়ের সঙ্কল্প থাকলেও মোহনবাগানের কাছে এএফসি কাপ দুয়োরানি
১০ মিনিটে প্রথম সুযোগ তৈরি করেছিল ভ্যালেন্সিয়া। কিন্তু আনাসের তৎপড়তায় সেটা গোলের মুখ থেকেই ফিরে আসে। উসামকে ফাউল করে ভ্যালেন্সিয়াকে ফ্রিকিকও পাইয়ে দিয়েছিল মোহনবাগান। তা অবশ্য কাজে লাগাতে ব্যর্থ ভ্যালেন্সিয়া। জেজে-সনির মধ্যে অসাধারণ বোঝাপড়ায় প্রায় গোলের মুখ খুলে ফেলেছিল মোহনবাগান কিন্তু সরাসরি সেই শট চলে যায় ভ্যালেন্সিয়া গোলকিপারের দখলে। প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত ভ্যালেন্সিয়ার গোলে আক্রমণ চালিয়ে গিয়েছে মোহনবাগান। গোলের ব্যবধান আরও বাড়তে পারত। যদি না হেলায় হারাত বেশ কিছু সুযোগ।
অনুশীলনে মোহনবাগান।
প্রথমার্ধের শেষে অবশ্য মোহনবাগানের হয়ে ব্যবধান বাড়ালেন ভ্যালেন্সিয়ার হুসেন নিহান। প্রথমার্ধ শেষ হল ২-০ গোলে। প্রথমার্ধে গোল পেলেও দ্বিতীয়ার্ধের খেলায় অনেকবেশি ধার বাড়িয়ে নামে মোহনবাগান। ৪৬ মিনিটেই গোলের সামনে পৌঁছে গিয়েছিলেন সনি। নিজে গোলে শট নেওয়ার চেষ্টা না করে যদি জেজেকে দিতেন তা হলে হয়তো তখনই ৩-০ হয়ে যেত। ঠিক দু’মিনিটের মাথায় মিস বলবন্ত সিংহর। যখন ৪-০তে এগিয়ে যাওয়ার কথা ছিল মোহনবাগানের তখন গোল হজম করে বসে সঞ্জয় সেনের রক্ষণ। ৫২ মিনিটে গডফ্রে ওয়েস্ট ওমোডুর গোলে ২-১ করে ভ্যালেন্সিয়া। মোহনবাগান রক্ষণের দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়েই গোলের মুখ খুলে ফেলে ভ্যালেন্সিয়া। এর পর মোহনবাগানের গোলে ফিরতে বেশ কিছুটা সময় লেগে যায়। তার মধ্যেই আবারও মিসের খাতায় নাম লিখিয়ে ফেলেন বলবন্ত।
এদিন একদমই ছন্দে ছিলেন না তিনি। শেষ পর্যন্ত মোহনবাগানকে আবার গোলে ফেরান সেই জেজে। যার গোলেই খাতা খুলেছিল বাগান। ৩-১ এ এগিয়ে গিয়ে সামান্য ধাক্কা খাওয়া আত্মবিশ্বাস ফিরে পান প্রবীর, প্রণয়রা। যার ফল, নির্ধারিত সময় শেষের তিন মিনিট আগেই ৪-১ করেন সনি নর্ডি। অ্যাওয়ে ম্যাচে ভ্যালেন্সিয়ার বিরুদ্ধে ১-১ গোলে ড্র করেছিল মোহনবাগান। হোম ম্যাচ জিতে মোট ৫-২ গোলে জিতে নিল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। মঙ্গলবার রবীন্দ্র সরোবর স্টেডিয়ামে কম করে ১০ গোল দিতে পারত মোহনবাগান। সেদিক থেকে দেখতে গেলে উচ্চমানের ফুটবল উপহার দিতে পারেনি কোনও দলই। যা দেখতে এদিন আই লিগের থেকেও বেশি সমর্থক হাজির হয়েছিল স্টেডিয়ামে। জয় পেলেও ভাল ফুটবল থেকে ব্রাত্য থাকতে হল তাঁদের।